Image default

রোজায় দীর্ঘসময় উপবাস থাকতে হয়। এ সময়ে শরীরে নানা উপাদানের ঘাটতি দেখা দেয়। বিশেষ করে পানি স্বল্পতার কারণে ত্বকে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।

এজন্য সেহেরি ও ইফতারে খাবারের বিষয়ে সচেতন থাকলে, অনেক সমস্যা এড়ানো সম্ভব হবে। রোজায় ত্বকের যত্নে কী ধরনের খাবার খাওয়া উচিত ও যেসব খাবার পরিহার করা দরকার তা জানা থাকা দরকার।

এ বিষয়ে বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন ল্যাব এইড হাসপাতালের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ইসরাত জাহান।

তিনি বলেন, রমজান মাসে অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকতে হয়। এজন্য আমরা ইফতার শুরু করতে পারি, পানি, শরবত অথবা ফলের জুস দিয়ে। তবে শরবত ও ফলের জুস চিনিমুক্ত হতে হবে। ইফতারে হঠাৎ শরীরে চিনি গেলে ইনসুলিনের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। এতে কোলাজেনের ব্রেকডাউন বেড়ে যায়। ফলে আমাদের স্কিন অনেক মলিন হয়ে যায়। এজন্য চিনিমুক্ত ফলের জুস ও শরবত খেতে হবে।

ডা. ইসরাত বলেন, ইফতারে খেজুর খাওয়া খুবই উপকারী। কারণ, সারা দিন রোজা রাখার পর আমাদের শরীরের মেটাবলিজম বন্ধ থাকে। ইফতার করলে আমাদের শরীরের মেটাবলিজম চালু হয় এবং খেজুর মেটাবলিজমের কার্যক্ষমতাকে দারুণভাবে সক্রিয় করে। ইফতারে প্রচুর ফলমূল খেতে হবে। কারণ, এতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা মেটাবলিজম চালু করতে সহায়তা করে। এরপর নামাজ শেষে কারও ভাজাপোড়া খেতে ইচ্ছা করে, অল্প পরিমাণে খেতে পারে। তবে রাতের খাবারে অবশ্যই লাল আটা অথবা লাল চালের ভাত কিছুটা রাখলে বেশি ভালো হবে। এগুলো ত্বক ও ডায়াবেটিসের জন্য ভালো।

তিনি আরও বলেন, সেহরির খাবার তালিকায় অবশ্যই তিনটি জিনিস রাখতে হবে। সেগুলো হলো, দুধ, কলা ও খেজুর। এ তিনটি খাবার আমাদের শরীরে সারা দিন এনার্জি যোগাবে। তাছাড়া খাবারগুলো এসিডিটির সমস্যা রোধ করার পাশাপাশি শরীরের ইন্টারনাল অর্গানগুলো ভালো রাখতে সহায়তা করে।

Related posts

নতুন স্টেম সেল থেরাপি প্রাক্লিনিকাল ট্রায়ালগুলিতে চুল পড়ার চিকিত্সার জন্য ‘প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’ ফলাফলগুলি দেখায়

News Desk

কিছু বিশেষজ্ঞের দাবি, প্রতিদিনের গোসল ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে

News Desk

ক্যান্সারের প্রতিরোধ ক্ষমতা একটি সাধারণ পুষ্টি থেকে বৃদ্ধি পায়, গবেষণায় দেখা যায়: ‘ষড়যন্ত্র এবং আশাবাদ’

News Desk

Leave a Comment