Image default
স্বাস্থ্য

টুনা মাছের স্বাস্থ্য সুবিধা কী?

যারা স্বাস্থ্য সচেতন তারা খাওয়ার মেনুতে অবশ্যই মাছ তিনবেলা রাখার চেষ্টা করবে ।উপকারের দিক থেকে সামুদ্রিক মাছ অনেকটাই এগিয়ে।জাপানিদের খাদ্য তালিকায় প্রচুর পরিমাণ-এ টুনা মাছ ও সামুদ্রিক মাছ থাকে । বিদেশি মাছ হলেওবাঙালীর খাদ্য তালিকায় অনেকটা স্থান করে নিয়েছে টুনা মাছ।

সুপার শপগুলোতে ক্যানে থাকা টুনা বা ফ্রোজেন টুনা পাওয়া যায় । এই দু ‘ধরনের টুনাই উপকারী। জাপানি ফিশ ডিশগুলির আগমনের সঙ্গে সঙ্গেই টুনা মাছের আগমন ঘটেছে । যে সমস্ত উপাদান টুনা মাছের মধ্যে রয়েছে। ওই সমস্ত উপাদানগুলি আমাদের শরীরের পক্ষে খুবই উপকারি।

১) মাছের ক্যালরি নির্ভর করে তার চর্বির উপর।সেদিক থেকে টুনা মাছ ক্ষতিকর চর্বি মুক্ত।

২) টুনা মাছেপর্যাপ্ত পরিমাণ-এ আমিষ আছে।মাংস থেকে এই আমিষ গ্রহন করতে হলে চর্বি যুক্ত আমিষ গ্রহন করতে হয়।টুনা মাছের আমিষ শিশুদের বৃদ্ধিও বিকাশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

৩) টুনা মাছেপর্যাপ্ত পরিমাণ-এ ওমেগা-৩ফ্যাটিঅ্যাসিড,উচ্চমাত্রায়প্রোটিন সিলেনিয়াম এবং ভিটামিন ডি থাকে।

৪) টুনা মাছে থাকা ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এবং ওমেগা -৩ ফ্যাটিঅ্যাসিড ত্বককে কোমল ও ময়েশ্চরাইজার রাখতে সাহায্য করে। তাই ত্বককে উজ্জ্বল কোমল পেতে চাইলে খাদ্য তালিকায় আমাদের অবশ্যই টুনা মাছ রাখতে হবে।

৫) টুনা মাছেপর্যাপ্ত পরিমাণ-এ ম্যাঙ্গানীজ, জিঙ্কও ভিটামিন এ এবং সিলেনিয়াম আছে যা রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।

৬) টুনা মাছে ভিটামিন -বি থাকে। যা হাঁড়ের ক্ষয় রোধ করতে এবং হাঁড়কে শক্ত করতে সাহায্য করে।

৭) টুনা মাছে লো -ফ্যাট, লো -ক্যালরি এবং প্রোটিন থাকায় ওজন কমানোর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতি ৮৫ গ্রাম টুনা মাছে ২৪-৩০গ্রাম প্রোটিন থাকে।

৮) টুনা মাছে ওমেগা-৩ থাকার জন্য রক্তের ভারসাম্য ঠিক থাকে এবং ক্লোলেস্টরেল নিয়ন্ত্রণ-এ থাকে।তারজন্য হার্ট এর কাজ যথাযথ ভাবে করতে পারে।

৯) নিয়মিত টুনা মাছ খেলে কিডনি ও স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটাই কম হয়।

১০) টুনা মাছ খেলে শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গের কার্যক্ষমতা অনেকটাই বেড়ে যায়।সুতরাং নিয়মিত টুনা মাছ খেলে অনেকটাই স্বস্থ্যবান হওয়া যায়।

১১) ওমেগা-৩ ফ্যাটিঅ্যাসিড টুনা মাছে থাকায় ডায়াবেটিস এর কারণে চোখের রেটিনার ক্ষয় থেকে রক্ষা করে।

১২) টুনা মাছেপর্যাপ্ত পরিমাণ-এ আয়রন থাকার জন্য ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স লোহিত রক্ত কণিকা গঠন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

টুনা মাছে পুষ্টির ভাগ খুব বেশি পরিমাণ-এ থাকে।ভিটামিন বি -৩ ,বি- ১২,বি-৬ ,বি-১,বি-২ এবং ভিটামিন ডি-এর মতো বহু ভিটামিন এর সমাহার এই টুনা মাছে।লাল মাংস মাছ থেকে প্রাপ্ত ভিটামিন বি-৬ শরীরের মধ্যে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কার্য সম্পাদনা করতে সহায়তা করে।এরমধ্যে একটি হিমগ্লোবিন-এর উৎপাদন বাড়াতে সহায়তা করে।টুনা মাছের ভিতরের রঙ এতটাই লাল হয়,যারজন্য এই মাছকে ‘সমুদ্রের গোলাপ’ বলে ডাকে।

বাচ্চাদের খুবই সামান্য পরিমাণ-এ টুনা মাছ খাওয়াতে হবে।তবে দেখতে হবে যদি কোন বাচ্চার এলার্জী দেখা যায় তবে টুনা মাছ খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে।অস্বাস্থ্যকর ভাবে বাচ্চাদের টুনা মাছ খাওয়ার জন্য স্নায়বিক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। সুরক্ষার স্বার্থে সঠিক বয়স অনুযায়ী বাচ্চাদের টুনা মাছ খাওয়ানো প্রয়োজন।

এতকিছু সুবিধা থাকা সত্ত্বেও, টুনা মাছের অন্যতম প্রধান সমস্যা হল এই মাছের মধ্যে থাকা পারদ সামগ্রী। প্রচুর পরিমাণ-এ থাকা পারদ সামগ্রী স্নায়ু তন্ত্রের পক্ষে ক্ষতিকারক হতে পারে।

তথ্য সূত্র: কোয়ারা

Related posts

10 tips to live to be 100: ‘Far more than wishful thinking,' say longevity experts

News Desk

ডিমেনশিয়া ঝুঁকি একটি গুরুত্বপূর্ণ মেডিকেল ডিভাইস দ্বারা হ্রাস করা যেতে পারে

News Desk

জেনিফার অ্যানিস্টন সম্মোহনের সাথে উড়ানোর ভয় ‘চরম’ ভেঙে দেয়: এটি কি কাজ করে?

News Desk

Leave a Comment