Image default
স্বাস্থ্য

ঘুমিয়েই ওজন কমাবেন যেভাবে

ওজন কমাতে কতজনই না কত রকম চেষ্টা করেন। কেউ না খেয়ে থাকেন দীর্ঘক্ষণ আবার কেউ জিমে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা শরীরচর্চা করেন।

তবুও কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেন না। আসলে ওজন কমানোর জন্য নিয়ম মেনে জীবনধারণ করতে হবে। ঠিক সময়মতো খাওয়া, ঘুম, শরীরচর্চা ইত্যাদি।

নিশ্চয়ই ভাবছেন ঘুমিয়ে আবার কীভাবে ওজন কমানো যায়? সত্যিই, ঘুমিয়েও শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমানো সম্ভব।

জানলে অবাক হবেন, ঘুমের মধ্যে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রতঙ্গ নিজেদের মতো কাজ চালিয়ে যায়। ফলে কিছু ক্যালোরি ও অ্যানার্জি বার্ন হয়।

এ ছাড়াও যতক্ষণ ঘুমিয়ে থাকেন, ততক্ষণ শরীরের অতিরিক্ত পানি শ্বাস-প্রশ্বাস ও ঘামের মাধ্যমে খরচ হয়। তাই শরীরের ওয়াটার ওয়েট বা পানির ওজন ঝরে যায়।

এ কারণেই সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই ওজন মাপলে দেখবেন খানিকটা কম দেখাচ্ছে। এসব কারণেই দীর্ঘ সময় ধরে রাতে ভালো ঘুম না হলে মেজাজ হয়ে পড়ে খিটখিটে। সঙ্গে ওজনও বেড়ে যায়।

পর্যাপ্ত ঘুম না হলে মানসিক চাপের হরমোন কর্টিসলের ক্ষরণ বেড়ে যায়। বেশি মাত্রায় কর্টিসলের ক্ষরণে হজমশক্তি কমিয়ে দেয়। ফলে শরীরের বিপাক হারও কমে যায়। ঘুম কম হলে শরীরের ক্ষুধাপ্রক্রিয়া ভিন্নভাবে কাজ করে।

তাই রাত জেগে থাকলে কিছু না কিছু খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। ফলে রক্তে শর্করা মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। তাই ওজনও দ্রুত বেড়ে যায়। এবার জেনে নিন ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে ওজন কমানোর সহজ কৌশল-

১। সন্ধ্যায় শরীরচর্চা করলে রক্তে শর্করার মাত্রা রাতে কম ওঠা-নামা করে। তাই ওয়েট ট্রেনিং করলে তা সকালের বদলে সন্ধ্যায় করুন। ফলে শরীরের বিপাক হার শরীরচর্চার পর ১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত বেশি থাকবে। তাই ঘুমের মধ্যেও শরীরে ক্যালোরি বেশি খরচ হবে।

২। এ ছাড়াও রাতে যদি প্রোটিন শেক খেতে পারেন তাহলেও সারারাত আপনার জম প্রক্রিয়া সচল থাকবে ও ক্যালোরিও বার্ন হবে। এতে থাকে ক্যাসেইন নামক এক ধরনের দুগ্ধজাত প্রোটিন। যা হজম হতে সময় নেয়। তাই রাতে এ ধরনের প্রোটিন শেক খেতে পারেন।

৩। শরীরচর্চার পর যদি ঠান্ডা পানিতে গোসল করেন, তাহলে শরীর থেকে ল্যাকটিক অ্যাসিড বেরিয়ে যায়। আমাদের শরীরে ব্রাউন ফ্যাটের পরিমাণে খুব কম থাকে।

যা শরীরের বিপাক হার বাড়িয়ে অনেকক্ষণ পর্যন্ত ক্যালোরি ঝরাতে পারে। অন্তত ৩০ সেকেন্ডও যদি বরফ-ঠান্ডা পানিতে গোসল করেন তাহলে শরীরের ব্রাউন ফ্যাট সক্রিয় হয়ে ঘুমের মধ্যেও ৪০০ ক্যালোরি পর্যন্ত ঝরাতে পারে।

৪। গ্রিন টি শরীরের বিপাক হার বাড়াতে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে আপনি দিনে অন্তত ৩ কাপ গ্রিন টি খেতে পারেন। রাতে ঘুমানোর আগে যদি এক কাপ গ্রিন টি খান তাহলে ঘুমের মধ্যে সাড়ে ৩ শতাংশেরও বেশি ক্যালোরি ঝরতে পারে।

৫। বর্তমানে ওজন কমানোর এক পরীক্ষিত ও কার্যকরী উপায় হলো ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং। এক্ষেত্রে ১৬ ঘণ্টা না খেয়ে বাকি ৮ ঘণ্টা খাওয়া হয়। ফলে শরীরে জমে থাকা সব সব সুগার শেষ হয়ে ফ্যাট ঝরিয়ে শক্তি পায় শরীর।

তাই ঘুমের মধ্যেও অনেকখানি ক্যালোরি বার্ন করা যায়। এসব উপায়ে আপনিও ঘুমের মধ্যেই ওজন কমাতে পারবেন। তবে অবশ্যই দৈনিক অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে।

Related posts

একজন ডাক্তারকে জিজ্ঞাসা করুন: ‘কী কারণে হেঁচকি হয় এবং আমি কীভাবে সেগুলি থেকে মুক্তি পেতে পারি?’

News Desk

ফেডস আগুনে 2 জনের মৃত্যুর পরে Toos বৈদ্যুতিক স্কুটার ব্যবহার করার বিরুদ্ধে সতর্ক করে৷

News Desk

Aldi দোকানে বিক্রি Taquitos ধাতু টুকরা কারণে প্রত্যাহার করা হয়

News Desk

Leave a Comment