Image default
আন্তর্জাতিক

সেনা প্রত্যাহারের পর যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিমানের সাহায্য পাবে না কাবুল

আফগানিস্তান থেকে চলমান সেনা প্রত্যাহারের পর দেশটিকে আর বোমারু বিমানের সাহায্য দেবে না যুক্তরাষ্ট্র। ভয়েস অব আমেরিকার সঙ্গে এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান মার্কিন কেন্দ্রীয় কমান্ডের কমান্ডার জেনারেল ফ্রাঙ্ক ম্যাকেঞ্জি।

তিনি বলেন, “সেনা প্রত্যাহার সম্পন্ন হওয়ার পর আফগান বাহিনীকে বিমান হামলায় সমর্থন করার পরিকল্পনা নেই যুক্তরাষ্ট্রের। আফগানিস্তানের মধ্যেই সন্ত্রাসবাদবিরোধী হামলা সীমাবদ্ধ থাকবে।” ম্যাকেঞ্জি আরও বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র বা তাদের মিত্রদের ভূমিতে আঘাত হানার কোন পরিকল্পনার কথা জানা গেলে তবেই যুক্তরাষ্ট্র সম্পৃক্ত হবে।”

২০ বছরের সামরিক সংশ্লিষ্টতার পর আমেরিকান সৈন্যরা ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই আফগানিস্তান ত্যাগ করবে। এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ ঘোষণা দেন। এরপর একই ঘোষণা দেয় ন্যাটো বাহিনী। ইতিমধ্যে আফগানিস্তান ত্যাগ করেছে অর্ধেকের বেশি আমেরিকান সেনা। প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের বড় একটি অংশ হয় সরিয়ে ফেলা হয়েছে, নয়তো ধ্বংস করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের আগের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে হওয়া চুক্তি অনুসারে, নির্দিষ্ট শর্ত সাপেক্ষে গত ১ মে’র মধ্যে সেনা প্রত্যাহার হওয়ার কথা ছিল। বাইডেনের নতুন ঘোষণার পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখায় তালিবানরা। ঘোষণা অনুযায়ী, ১ মে যুক্তরাষ্ট্র সৈন্য প্রত্যাহার শুরু করে। সে দিন থেকে একাধিক সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে আফগানিস্তানে, নিহত ও আহত হয়েছে অসংখ্য বেসামরিক মানুষ।

সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণার সময় আফগানিস্তানে আড়াই হাজার মার্কিন সেনা ছিল। ২০০১ সালে দেশটিতে সামরিক অভিযান শুরুর সময় এই সংখ্যা ছিল ১ লাখ। এই যুদ্ধে ২ হাজার ৪০০ মার্কিন সেনা নিহত হন। আহত হন আরও কয়েক হাজার।

Related posts

হ্যাকিংয়ের শিকার ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি

News Desk

ভারতে সব কার্গো ফ্লাইট বাতিল করলো চীন

News Desk

যুক্তরাষ্ট্রের ‘ডু নট ট্র্যাভেল’র তালিকায় বাংলাদেশ

News Desk

Leave a Comment