রাশিয়ার নৌসেনা ঘাঁটির পাহারায় ডলফিন বাহিনী
আন্তর্জাতিক

রাশিয়ার নৌসেনা ঘাঁটির পাহারায় ডলফিন বাহিনী

ছবি: টুইটার

কৃষ্ণসাগরে রুশ নৌসেনা ঘাঁটি পাহারা দিচ্ছে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ডলফিন বাহিনী! শুনতে অবাক লাগলেও, এক রিপোর্টে উঠে এসেছে এমন তথ্যই। দাবি করা হয়েছে, ওই শুশুক বাহিনীর কাজ হচ্ছে বন্দরে দাঁড়িয়ে থাকা রুশ যুদ্ধজাহাজগুলিতে কোনও হামলার চেষ্টার আগাম খবর দেওয়া।

কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নৌঘাঁটি হল সেভেস্তাপোল। সেখানে দাঁড়িয়ে রয়েছে রুশ নৌবাহিনীর বেশ কয়েকটি রণতরী। জানা গেছে, সেভেস্তাপোল ইউক্রেনীয় মিসাইলগুলির আওতার বাইরে। কিন্তু সমুদ্রপথে পানির নিচে রুশ জাহাজে হামলা চালাতে পারে জেলেনস্কি বাহিনী। তাই আগেভাগেই শত্রুর উপস্থিতি জানতে এবং কৃষ্ণসাগরে নিজেদের নৌসেনা ঘাঁটি বাঁচাতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ডলফিনদের পাহারায় রেখেছে রাশিয়া। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি প্রতিবেদনে এমনই দাবি করা হয়েছে। উপগ্রহ চিত্রেও সেই ছবি ধরা পড়েছে। খবর সংবাদ প্রতিদিনের।

বেশকয়েকটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান চালানোর পর থেকেই সেভেস্তাপোল নৌঘাঁটিতে ডলফিনের দু’টি দলকে মোতায়েন করেছে রাশিয়া। উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে যে, সেভেস্তাপোল নৌঘাঁটিতে একাধিক যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে রাশিয়া। আমেরিকার ন্যাভাল ইনস্টিটিউটও সেই ছবি পর্যালোচনা করে বিষয়টি সুনিশ্চিত করেছে। সেনাবাহিনীর কাজে ডলফিনকে কাজে লাগানোর প্রক্রিয়া অবশ্য রাশিয়ায় প্রথম নয়। এর একটি ইতিহাস আছে। শত্রুপক্ষের ডুবুরিকে চিহ্নিত করা বা সমুদ্রের নীচে কোনও বিস্ফোরক এমনকি কোনও বস্তুকে উদ্ধার করে নিয়ে আসার কাজে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় ডলফিনগুলিকে।

সমর বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, তৎকালীন সোভিয়েত নৌসেনা এই সেভেস্তাপোল বন্দরেই ডলফিনদের প্রশিক্ষণ দিত। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ায় ডলফিনদের এই শাখা নিয়ন্ত্রণ করত ইউক্রেন। সেই সময় ক্রাইমিয়া ইউক্রেনের অধীনে ছিল। তবে ২০১৪ সালে ক্রাইমিয়া দখল করে মস্কো। বলে রাখা ভালো, শুধু রাশিয়া নয়, আমেরিকাও ডলফিন বাহিনী তৈরি করেছে।

উল্লেখ্য, গত এপ্রিল মাসে ইউক্রেনের মিসাইল হামলায় ডুবল রুশ নৌসেনার গর্বের রণতরী ‘মস্কোভা’। রাশিয়ার ‘ব্ল্যাক সি ফ্লিটে’র ফ্ল্যাগশিপ ছিল ‘মস্কোভা’। ১৯৮২ সালে রুশ নৌসেনায় যুক্ত হওয়ার পর থেকেই গোটা নৌবহরের জন্য মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেমের কাজ করছিল জাহাজটি। ২০১০ সালে জাহাজটির আধুনিকীকরণের পর কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার হিসেবেও কাজ করছিল মস্কোভা। ফলে এহেন ক্ষমতা থাকা জাহাজ ফের তৈরি করতে অনেকটাই বেগ পেতে হবে রাশিয়াকে। ওই ঘটনার পর থেকেই রণতরীগুলির সুরক্ষা আরও বাড়িয়ে তুলতে তৎপর হয়েছে রাশিয়া।

ডি-ইভূ

Source link

Related posts

বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমলো আরেক দফা

News Desk

আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করলেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী

News Desk

নতুন ৮ মুখ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রিসভা বদল মমতার

News Desk

Leave a Comment