ব্রিটেন ও দক্ষিণ আফ্রিকায় নতুন ধরনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে গত বছরের ডিসেম্বরে। আগে যে ধরনের ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে তার চেয়ে নতুন ধরনের এই কোভিড-১৯ ভাইরাস আরো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তবে এ ধরনের ভাইরাস বেশি প্রাণঘাতী নয়।
তবে ব্রিটেন জানিয়েছিল, দেশজুড়ে দ্রুত গতিতে টিকাকরণের কারণে আগের থেকে অনেকটা ‘সুস্থ’ হয়ে উঠেছে তারা। সংক্রমণ কমছে। হাসপাতালে রোগী ভর্তি কমছে। মৃত্যুও কম। কিন্তু সেরে ওঠার সেই আত্মবিশ্বাসী মনোভাবে পানি ঢেলে দিলো দিল ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’র (ডব্লিউএইচও) এক বিশেষজ্ঞ।
ডব্লিউএইচও-এর ইউরোপ শাখার শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞ ক্যাথরিন স্মলউড সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, এই সাফল্যটুকুই সব নয়। বিপদ এখনো কাটেনি। ফের আছড়ে পড়তে পারে সংক্রমণ ঢেউ। এখনো যে পরিমাণে সংক্রমণ ঘটছে, সেটা ভয়ের। এখনো বিপদসীমাতেই রয়েছে ব্রিটেন। আর একটা ঢেউ এলে সামলাতে পারবে না।
সম্প্রতি প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সংক্রমণ কিছুটা কমায় তারা করোনা-বিধি হাল্কা করার কথা ভাবছে। অতিপ্রয়োজনীয় নয় এমন দোকান, জিম, আউটডোর রেস্তরাঁ, পাব হয়তো খুলে দেয়া হবে শীঘ্রই। স্মলউড বলেন, এতদিন এই কড়াকড়িগুলো হচ্ছিল বলেই কিন্তু সংক্রমণ কমেছিল।
ডব্লিউএইচও-র এই বিশেষজ্ঞের কথায়, ‘টিকাকরণ জরুরি। সকলের টিকা নেওয়া উচিত। তাতে নিজেদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে উঠছে। কিন্তু ব্রিটেনের যা পরিস্থিতি, ঢিল দিলে সংক্রমণ বাড়তে সময় লাগবে না’।
স্মলউড আরো মনে করিয়ে দিয়েছেন— ভাইরাস শক্তি বাড়িয়ে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। নতুন স্ট্রেনের সংক্রমণ ক্ষমতা ও মারণ ক্ষমতা, দুই-ই বেশি। এই নতুন স্ট্রেনের সামনে এখন কমবয়সিরা, যাদের টিকাকরণ হয়নি। ফলে এখনই নিজেদের সাফল্যে ব্রিটেনের খুশি হওয়ার মতো কিছু হয়নি বলে মনে করেন ক্যাথরিন। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা