জনপ্রিয় একটি সোশ্যাল মাধ্যম টুইচ তার গ্রাহকদের সুরুক্ষার কথা ভেবে নতুন পদক্ষেপ নিতে চলেছে। টুইচে পোস্ট করা নানা বিতির্কিতমূলক সংবাদ কিংবা শিশু বা মহিলা নির্যাতনের মতো সংবাদ বা ভিডিওর বিষয় বন্ধ করতে চলেছে তারা। এর পাশাপাশি এই সমস্ত নানা বিষয় আটকাতে কর্তৃপক্ষ একটি তদন্তমূলক আইনি সংস্থার সঙ্গে যৌথ্যভাবে কাজ শুরু করতে চলেছে।
বুধাবার এই লাইভ স্টিমিং সংস্থা টুইচ তাদের ব্যবহারকারীদের উপর নানা হামলার বার্তা কিংবা তাদের কোম্পানির কর্মচারীদের নানা কটূক্তি কথা রুখতে এই নয়া পদক্ষেপের সিদ্ধন্ত বলে জানিয়েছে।
টুইচ সংস্থাটি অ্যামাজনের মালিকানাধীন একটি ভিডিও গেমারদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। এই সংস্থা নতুন বিধি অনুযায়ী অনলাইনের সঙ্গে সঙ্গে অফলাইনে নানা অপরাধের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আর এর জন্য তারা একটি নতুন কমিউনিটি “substantial safety risk” চালু করতে চলেছে।
টুইচের নতুন বিধিতে অপরাধের ক্ষেত্রে উল্লেখ করা হয়েছে সন্ত্রাসী কার্যক্রম, শিশু যৌন শোষণ, সহিংস উগ্রবাদ, গণ-সহিংসতার বিশ্বাসযোগ্য হুমকি, যৌন নিপীড়নের সহযোগী হিসাবে চালানো বা ইচ্ছাকৃতভাবে কাজ করা এবং টুইচ বা তার কর্মীদের হুমকি দেওয়ার মতো বিষয়। আর এই নানা অপরাধের জন্য প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবারে আগে অপরাধের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া টুইচ এবং শিল্প উভয়ের পক্ষে একটি অভিনব দৃষ্টিভঙ্গি বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ একটি ব্লগে ।
টুইচ জানিয়েছে এর আগেও সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা হয়রানির মতো ঘটনায় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল কর্তৃপক্ষের তরফে। উদাহরণ স্বরূপ তারা উল্লেখ করে ৬ জানুয়ারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটলে হামলার ঘটনা। আর এই হামলার পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ করে দেবার সিদ্ধন্ত একটি ঐতিহাসিক নজিরবিহীন ঘটনা বলেও একটি ব্লগে তারা উল্লেখ করে ।
টুইচ এর তরফে আরও জানানো হয়, “অফ-সার্ভিস” মামলায় আইন প্রয়োগের উপর আরও বেশি নির্ভর করার জন্য তারা একটি তদন্তকারী আইন সংস্থার সাথে যৌথ্য ভাবে কাজ করছে। তবে তারা এই তদন্তকারী সংস্থার নাম উল্লেখ করেনি।
বিশ্বের অন্য দুই বড়ো সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক এবং টুইটার তারাও তাদের মাধ্যমে এই নানা অপরাধ এবং বিতর্কমূলক বার্তা আটকানোর জন্য নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। এই দুই বড়ো সোশ্যাল মাধ্যম ব্যবহারকারীদের জন্য নানা নিয়ম এবং আইন তৈরি করেছে এবং তার দিকে মনোনিবেশ করছে।