আন্তর্জাতিক

জন্মহার বাড়ানোর উদ্যোগ নেবে চীন: শি জিনপিং

চীনের জনসংখ্যা হ্রাস পেলে সেটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতির দেশটিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বেইজিং-এর নীতিনির্ধারকরা। এমন বাস্তবতায় দেশে জন্মহার বাড়াতে সরকারি নীতি প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। রবিবার চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিসিপি) ২০তম কংগ্রেসে দেওয়া বক্তব্যে এ ঘোষণা দেন তিনি। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।

দলীয় কংগ্রেসে দেওয়া ভাষণে শি জিনপিং বলেন, জন্মহার বাড়াতে একটি নীতি প্রণয়ন করা হবে।

১৪০ কোটি জনসংখ্যার দেশ চীন। আদমশুমারির পরিসংখ্যান বলছে, দেশটিতে জন্মহার উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। জনতত্ত্ববিদের আশঙ্কা, এই বছর দেশটিতে জন্মহার রেকর্ড পরিমাণে কমে আসবে। গত বছর যেখানে ১০ দশমিক ৬ মিলিয়ন শিশু নিয়েছে এবার এই সংখ্যা ১০ মিলিয়নের নিচে নেমে যেতে পারে। ইতোমধ্যেই ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে জন্মহার কমেছে ১১ দশমিক ৫ শতাংশ।

বহু দশক ধরে কঠোরভাবে ‘এক সন্তান নীতি’ অনুসরণ করে আসছিল বেইজিং। ২০১৬ সালে এই নীতি থেকে সরে আসে তারা। দম্পতিদের দুইটি করে সন্তান নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু এরপরও জন্মহার আশানুরূপভাবে বাড়েনি। এক পর্যায়ে ঘোষণা করা হয়, দম্পতিরা তিনটি পর্যন্ত সন্তান নিতে পারবেন। কিন্তু তাতেও খুব একটা সুফল মেলেনি।

সন্তান লালনপালনের ক্রমবর্ধমান ব্যয় এক্ষত্রে একটি বড় অন্তরায় হিসেবে কাজ করেছে। দেশটির কমার্স ব্যাংকের একজন অর্থনীতিবিদ হাও ঝৌ। সংবাদমাধ্যম রয়টার্সকে তিনি বলেন, জন্মহার বাড়ানোর চাবিকাঠি যদি জন্ম নিয়ন্ত্রণ নীতি শিথিল করার সঙ্গে সম্পর্কিত হতো, তাহলে দুই সন্তান নীতি চালুর পরই সেটি কাজ করার কথা ছিল।

হাও ঝৌ বলেন, ‘তিনটি সন্তান কে চায়? তরুণ দম্পতিরা বেশি হলেও দুইটির বেশি সন্তান নিতে ইচ্ছুক নয়। মূল বিষয়টা হলো, জীবনযাপনের ব্যয় খুবই বেশি। বেঁচে থাকার জন্য চাপও বিশাল। সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি।

Related posts

‘সশস্ত্র বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘর্ষে’ চাদের প্রেসিডেন্ট ইদ্রিস ডেবি নিহত

News Desk

চুমুর ঘটনায় পদত্যাগ ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী

News Desk

ইউক্রেনে মানবিক-সামরিক সহায়তা দেবে ২৫টির বেশি দেশ

News Desk

Leave a Comment