স্পেন থেকে ছেড়ে আসা রায়ানএয়ারের একটি ফ্লাইটের গতিপথ ঘুরিয়ে ভিন্নমতাবলম্বী এক সাংবাদিককে গ্রেফতারে মিনস্কে নামতে বাধ্য করেছে বেলারুশ। তবে সেই ঘটনাটিকে বেলারুশ কর্তৃপক্ষ চাপিয়ে দিয়েছে ফিলিস্তিন প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের ওপর।
গত রোববার লিথুনিয়ার পথে থাকা ফ্লাইটটিকে যুদ্ধবিমান পাঠিয়ে মিনস্কে নামাতে বাধ্য করে বেলারুশ। এ ঘটনায় তারা দাবি করছে, বিমানটিতে বোমা রাখা ছিল। তবে মিনস্কের বিমানবন্দরে ফ্লাইটটি তল্লাশির পর কোনো বোমা খুঁজে পাওয়া যায়নি। পুলিশ ফ্লাইট থেকে ২৬ বছয় বয়সী সাংবাদিক রোমান প্রোতেসেভিচকে আটক করে।
বেলারুশ কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, তারা হুমকি পেয়েছিল যে, হামাস ফ্লাইটটিতে বোমা রেখেছিল ইসরায়েলে হামলার জন্য। যাত্রীবাহী ফ্লাইট ঘুরিয়ে নিজেদের রাজধানীতে নামাতে বেলারুশের যুদ্ধবিমান পাঠানোর ঘটনাকে ‘রাষ্ট্রীয় দস্যুতা’ বলে বর্ণনা করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের এক নেতা।
এমন ঘটনায় ‘স্তম্ভিত’ পশ্চিমা দেশগুলো বেলারুশের ওপর নতুন করে আরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এদিকে এক টুইটে হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা মুসা আবু মারজুক বলেন, বেলারুশের পরিবহনমন্ত্রীর এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন ও অযৌক্তিক। তিনি বলেন, হামাস গঠনের শুরু থেকেই বিশেষভাবে ইসরাইলের দখলদারিত্বে বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে।
সম্প্রতি হামাস ও ইসরায়েল বাহিনীর সংঘাতে কমপক্ষে ২৫৩ ফিলিস্তিনি নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে ৬৬ জন শিশু ও ৩৯ জন নারী রয়েছেন। পাশপাশি এ সংঘাতে প্রায় ২ হাজার জন আহত হয়েছেন। অপরদিকে হামাসের ছোড়া রকেটে ১৩ জন ইসরাইলি নিহত হয়েছে।