রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ২০২২ সালের শেষ নাগাদ আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সারমাত মোতায়েন করা হবে। বৃদ্ধি করা হবে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতা এবং অস্ত্রভাণ্ডারও আধুনিকায়ন করা হবে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
রাশিয়ার সেনাবাহিনীর নতুন গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি দেওয়া এক ভাষণে এ কথা বলেন। সারমাত ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এই বছরের শেষ নাগাদ তা মোতায়েনের পরিকল্পনা করা হয়েছে।’ সারমাত ক্ষেপণাস্ত্রটি ১০ টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম।
আজকের পত্রিকা অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
পুতিন আরও বলেন, ‘আসন্ন সব ধরনে সামরিক হুমকি এবং ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে আমরা আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে আরও উন্নত আরও শক্তিশালী করা বজায় রাখব।’ এ সময় তিনি ইউক্রেনে লড়াইরত রাশিয়ার সেনাবাহিনীর সদস্যদের প্রকৃত বীর আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘তাঁরা সেখানে পেশাদারত্ব, সাহস এবং প্রকৃত বীরের মতো লড়ছে।’
এর আগে, চলতি বছরের এপ্রিলে নতুন পরমাণু অস্ত্রবাহী আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সারমাতের পরীক্ষা চালায় রাশিয়া। সে সময় ‘ক্ষেপণাস্ত্রটির কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই’ বলে জানিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি আরও বলেছিলেন, ‘এটি মস্কোর শত্রুদের নতুন করে ভাবতে বাধ্য করবে।’
সারমাত সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্রগুলো নিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরেই কাজ করে আসছিল রাশিয়া। ফলে এই পরীক্ষা হয়তো রাশিয়ার প্রতিপক্ষ দেশগুলোর জন্য নতুন কোনো সংবাদ নয়। তবে, এই পরীক্ষা যে—ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যকার চলমান সংকট আরও গভীর করবে এবং ইউক্রেনের মিত্রদের নতুন করে ভাবতে বাধ্য করবে সে বিষয়ে নিশ্চিত বিশ্লেষকেরা।
নতুন এই ক্ষেপণাস্ত্র সম্পর্কে পুতিন বলেছিলেন, ‘নতুন এই ক্ষেপণাস্ত্রটি সর্বোচ্চ কৌশলগত ও প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন এবং এতে ক্ষেপণাস্ত্রবিরোধী প্রতিরক্ষার সব আধুনিক কৌশলকে অতিক্রম করতে সক্ষম। বিশ্বে এটির কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই ও দীর্ঘ সময় এর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী থাকবেও না।’