রাহুলের ৩৫০০ কিলোমিটার পদযাত্রা
আন্তর্জাতিক

রাহুলের ৩৫০০ কিলোমিটার পদযাত্রা

কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ছবি: এনডিটিভি

পুরো ভারতকে অসাম্প্রদায়িক এক ছাতার নিচে নিয়ে আসতে বিশাল পদযাত্রা কর্মসূচির আয়োজন করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। আজ বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় বিকেল ৫টায় ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ নামে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন তিনি।

ভারতে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে জনসম্পৃক্ততা বাড়াতেই এই কর্মসূচি শুরু করছে দেশটির কংগ্রেস দল, এমনটিই মনে করছেন ভারতীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত পুরো যাত্রাপথে রাহুল গান্ধীও হেঁটে অংশ নেবেন। এ কর্মসূচি শেষ হতে প্রায় ১৫০ দিন লাগবে। দলীয় কর্মসূচি থেকে বলা হচ্ছে, দিনে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা হেঁটে কংগ্রেসের হাজারো নেতাকর্মী ১২টি রাজ্য ও ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে যাত্রা করবেন।

বুধবার বিকেলে কন্যাকুমারীতে মহাত্মা গান্ধীমণ্ডপে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন রাহুল গান্ধী। সেখানে একটি সমাবেশের মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকালে এ পদযাত্রা শুরু হবে।

বলা হচ্ছে, আগামী লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে দলের নেতা-কর্মীদের চাঙ্গা করতেই এমন কর্মসূচি দিয়েছে ভারতের প্রাচীন এই দলটি। এছাড়া সাধারণ জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করার বিষয়ও গুরুত্ব পাবে বলে মনে করছেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাকর্মীরা।

রাহুলের ঘোষণা অনুযায়ী, এই যাত্রার উদ্দেশ্য হল বিজেপি-আরএসএসের বিভাজনের নীতির বিরুদ্ধে কংগ্রেসের ধর্মনিরপেক্ষ, ঐক্যের মতাদর্শ তুলে ধরা। কিন্তু তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারী থেকে এই যাত্রা শুরু হলেও অধিকাংশ বিজেপি শাসিত রাজ্যের মধ্যে দিয়েই এই যাত্রা যাবে না। নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের গুজরাটেও ঢুকবে না এই যাত্রা। তবে যোগী আদিত্যনাথের উত্তরপ্রদেশকে সামান্য ছুঁয়ে যাবে।

মধ্যপ্রদেশ, কর্নাটক, হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্র— শুধুমাত্র এই চারটি বিজেপি বা বিজেপি জোট শাসিত রাজ্যেই রাহুলের ভারত জোড়ো যাত্রা পৌঁছাবে। তাতে কি দেশ জুড়ে নরেন্দ্র মোদী তথা বিজেপি বিরোধী হাওয়া উঠবে? কংগ্রেসের পালে হাওয়া লাগবে? কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশের দাবি, ভারত জোড়ো যাত্রা দেশের রাজনীতিতে পরিবর্তন আনবে, কংগ্রেসের জন্যও সঞ্জীবনী হয়ে উঠবে।

বুধবার রাহুল এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, আমরা এক ইতিবাচক রাজনীতির সূচনা করছি। আমরা আপনাদের কথা শুনতে চাই। আপনাদের সমস্যার সমাধান করতে চাই। আমাদের প্রিয় দেশকে জুড়তে চাই।

আজ সকালে প্রয়াত রাজীব গান্ধীর স্মৃতিস্থল শ্রীপেরুম্বুদুরে প্রার্থনা সভায় যোগ দেন রাহুল। এখানেই রাজীব এলটিটিই-র হামলায় নিহত হয়েছিলেন। এর পরে কন্যাকুমারীতে বিবেকানন্দ মেমোরিয়াল, কামরাজ, থিরুভাল্লুভার মেমোরিয়াল হয়ে ফের মহাত্মা গান্ধী মণ্ডপে প্রার্থনা সেরে বিকেলে পদযাত্রা শুরু হবে। তার আগে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন রাহুলের হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দেবেন। সন্ধ্যায় জনসভার পরে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পদযাত্রা শুরু হবে।

কংগ্রেসের পরিকল্পনা অনুযায়ী, রাহুলের যাত্রা তামিলনাড়ু, কেরালা, কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, হরিয়ানা, পঞ্জাব হয়ে জম্মুতে পৌঁছবে। কংগ্রেস নেতাদের যুক্তি, সব থেকে সহজ রাস্তা বেছে নিতেই গুজরাটকে বাদ দিতে হয়েছে। তবে উত্তরপ্রদেশ-সহ সব রাজ্যেই ভারত জোড়ো যাত্রা হবে।

এমকে

Source link

Related posts

মস্কো ইউক্রেনের আলো নেভাতে পারে, চেতনাকে নয়: ব্লিঙ্কেন

News Desk

বিশ্বজুড়ে আরও ১৪৭৭ জনের মৃত্যু

News Desk

রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি মার্কিন প্রেসিডেন্টের

News Desk

Leave a Comment