রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ভেবেছিলেন, ইউক্রেনে বেসামরিক স্থাপনায় ড্রোন হামলা চালিয়ে দেশটির জনগণের মনোবল ভেঙ্গে দেবেন। কিন্তু হামলার বিপরীত প্রভাব পড়ছে উল্লেখ করে শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, পুতিন ইউক্রেনীয়দের সংকল্পকে আরও দৃঢ় করে তুলছেন।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ বিভিন্ন জায়গায় ইরানের তৈরি কামিকাজে ড্রোনের সাহায্যে হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। মস্কোকে ড্রোন দিয়ে সহায়তার অভিযোগ এনে তেহরানের তিন সামরিক কমান্ডারসহ ড্রোন তৈরি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞায় একমতে পৌঁছেছেন ইইউ’র রাষ্ট্রদূতরা।
এ নিয়ে শুক্রবার পররাষ্ট্র দফতরে ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাথরিন কোলোনার সঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে আসেন ব্লিঙ্কেন। তিনি বলেন, ‘হামলার লক্ষ্যই হচ্ছে ইউক্রেনের জনগণকে কষ্ট দেওয়া। মস্কো ধারাবাহিক হামলা চালিয়ে ইউক্রেনজুড়ে আলো নিভিয়ে দিতে পারে, কিন্তু ইউক্রেনীয়দের চেতনাকে ধ্বংস করতে পারবে না।’
ব্লিঙ্কেন আবারও দাবি করেন ইরানের সরবরাহ ড্রোন দিয়ে ইউক্রেনে হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া।
পশ্চিমা নেতারাও বলছেন, ড্রোনের বিষয়ে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে তাদের কাছে। যদিও মস্কো ও তেহরান উভয়ই বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
ইউক্রেনের সেনাবাহিনী বলেছে, ভূপাতিত বেশিরভাগ ড্রোন ইরান নির্মিত শাহেদ-১৩৬ মডেলের। এগুলোতে বিস্ফোরক ছিল। লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার পর এগুলো বিস্ফোরিত হয়।
সূত্র: সিএনএন