বাইডেন-শি সাক্ষাৎ: সম্পর্কের বরফ গলবে!
আন্তর্জাতিক

বাইডেন-শি সাক্ষাৎ: সম্পর্কের বরফ গলবে!

ছবি: রয়টার্সের

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে প্রথম মুখোমুখি সাক্ষাৎ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ইন্দোনেশিয়ার বালিতে মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে জি২০ সম্মেলন। সম্মেলনে যোগ দিতে বিশ্বনেতারা এখন বালিতে জড়ো হয়েছেন।

সম্মেলনের আগে ইন্দোনেশিয়ায় পৌঁছে বাইডেন এবং শি গতকাল সাক্ষাৎ করেন। বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর শির সঙ্গে এটিই তার প্রথম মুখোমুখি সাক্ষাৎ। যদিও ২০২১ সালের জানুয়ারিতে বাইডেন শপথ গ্রহণের পর দুই নেতার মধ্যে ৫ বার ফোনে বা ভিডিওতে কথা হয়েছে। তাদের সর্বশেষ দেখা হয় যখন বারাক ওবামা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এবং বাইডেন ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন।

রয়টার্স জানায়, বালির নুসা দুয়া বে-তে অবস্থিত বিলাসবহুল হোটেল মুলিয়ার বলরুমে সারি করে রাখা চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের পতাকার সামনে বাইডেন ও শি হাসিমুখে করমর্দন করেন। দুজনই এ সময়ে দুজনের প্রতি খুবই আন্তরিক আচরণ করেন। শির পিঠে হাত রেখে বাইডেন বলেন, ‘আপনার সাক্ষাৎ পাওয়া সত্যিই দারুণ।’

পরে সাংবাদিকদের সামনে বক্তব্য রাখেন বাইডেন। সেখানে তিনি চীনের সঙ্গে ব্যক্তিগত এবং সরকারি- উভয় পর্যায়ে যোগাযোগের রাস্তা সব সময় খোলা রাখারও প্রতিশ্রুতি দেন।

তিনি বলেন, আমার মতে, দুই দেশের নেতা হিসেবে আমাদের দায়িত্ব ভাগ করে নেয়া উচিত। এটি দেখাতে যে, চীন এবং যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের মধ্যে পার্থক্যগুলো মানিয়ে নিতে পারে… প্রতিযোগিতা বন্ধ করতে পারে… যা সংঘাতে পরিণত হতে পারে এবং যেসব জরুরি বৈশ্বিক বিষয়ে আমাদের যৌথ সহযোগিতা প্রয়োজন সেসব বিষয়ে একজোট হয়ে কাজ করার পথ খুঁজে বের করার জন্য।

জলবায়ু পরিবর্তন এবং খাদ্য নিরাপত্তাহীনতাকে সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করে বাইডেন আরো বলেন, বিশ্ব আশা করছে তারা দুই দেশ এই সমস্যার সমাধান করবে।

জবাবে শি বলেন, বিশ্ব যা প্রত্যাশা করে তাদের দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক তেমনটা নয়। তাই আমাদের চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের জন্য সঠিক তালিকা প্রস্তুত করা প্রয়োজন। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অগ্রগতির জন্য আমাদের সঠিক দিকনির্দেশনা খুঁজে বের করতে হবে এবং সম্পর্ককে উন্নত করতে হবে। বিশ্ব প্রত্যাশা করে চীন এবং যুক্তরাষ্ট্র সঠিকভাবে তাদের মধ্যে সম্পর্ক বজায় রাখতে পারবে। শি চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ককে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে বাইডেনের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহও প্রকাশ করেন।

সাক্ষাতের সময় দুই নেতার কেউই মাস্ক পরে ছিলেন না। যদিও তাদের সঙ্গে থাকা কূটনীতিকরা সবাই মাস্ক পরে ছিলেন। এই দুই নেতা মূলত তাইওয়ান, ইউক্রেন ও উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এবারের জি২০ সম্মেলনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন অংশ নিচ্ছেন না। তার পরিবর্তে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বালিতে গেছেন। ক্রেমলিন বলেছে, পুতিন খুবই ব্যস্ত। তার হাতে সম্মেলনে যোগ দেয়ার মতো সময় নেই।

এদিকে, বালি যাওয়ার পর ল্যাভরভ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে কিছু গণমাধ্যমে একটি খবর প্রকাশ পেয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্য বলে জানিয়েছে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আজ ভিডিও লিংকের মাধ্যমে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জি২০ সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন বলেও জানা গেছে।

এমকে

Source link

Related posts

তিন বছর বয়সী শিশুদেরও করোনার টিকা দেবে চীন

News Desk

১১ হাজার কর্মী ছাঁটাই করছে মেটা

News Desk

নাৎসিমুক্ত ইউক্রেন তৈরি করতে চান পুতিন

News Desk

Leave a Comment