টুইটারে নাচের ছবি পোস্ট করে ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীকে সমর্থন হিলারির
আন্তর্জাতিক

টুইটারে নাচের ছবি পোস্ট করে ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীকে সমর্থন হিলারির

টুইটার পোস্টের সঙ্গে নাচের একটি ছবিও দিয়েছেন হিলারি। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত

ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সান্না মারিনের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে নিজের নাচের ছবি পোস্ট করে তিনি ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীকে সমর্থন দেন। খবর এএফপির।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে সান্না মারিন ও তার বন্ধুদের একটি পার্টিতে নাচতে ও গাইতে দেখা যায়। ভিডিওটি প্রকাশিত হওয়ার পর বিরোধী দলগুলোর সমালোচনার মুখে পড়েন মারিন।

অনেকে বলতে থাকেন এটি প্রধানমন্ত্রীর আচরণ হতে পারে না। তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অনেকে আবার সান্না মারিনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তাঁরা বলেন, ৩৬ বছর বয়সী এ প্রধানমন্ত্রীর অধিকার আছে তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে ব্যক্তিগত পার্টিতে অংশগ্রহণের। এবার সে কাতারে যোগ দিয়েছেন হিলারি ক্লিনটনও।

গতকাল রোববার ওই টুইটার পোস্টে সান্না মারিনকে ট্যাগ করে হিলারি লিখেছেন, ‘নাচতে থাকুন’। হিলারির ওই টুইটার পোস্টের সঙ্গে একটি ছবিও আছে। সেখানে একটি জনাকীর্ণ ক্লাবের ভেতরে মুখ ভরা হাসি নিয়ে হিলারিকে নাচতে দেখা গেছে। ছবিটি ২০১২ সালে হিলারির কলম্বিয়া সফরে তোলা। তখন তিনি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন।

দ্রুতই হিলারির সে টুইটার পোস্টের জবাব দিয়ে পাল্টা টুইট করেছেন মারিন। সেখানে তিনি হিলারি ক্লিনটনকে ট্যাগ করেন এবং হার্ট ইমোজি দিয়ে লিখেছেন, ‘আপনাকে ধন্যবাদ।’

যদিও ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মারিন শুরু থেকেই সকল গণমাধ্যমকে বলে আসছেন, তিনি পার্টিতে অ্যালকোহল পান করেছেন, মাদক নেননি। পার্টিতে অংশগ্রহণকারী কাউকে তিনি মাদক নিতে দেখেননি। বিরোধীরা মারিনকে স্বেচ্ছায় মাদক পরীক্ষা করানোর জন্য আহ্বান জানালে তাতে সায় দেন এ প্রধানমন্ত্রী। পরে তাঁর মাদক পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসে।

২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা প্রশাসনের অধীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন ৭৪ বছর বয়সী হিলারি ক্লিনটন। ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন তিনি।

২০১৯ সালে ৩৪ বছর বয়সে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন মারিন। পার্টি করার কারণে এবারই প্রথম সমালোচনার মুখে পড়েননি ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী। সরকারি বাসভবনে পার্টি করার কারণে এর আগেও সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে করোনা মহামারির ঝুঁকি জেনেও রাতভর পার্টি করায় সমালোচিত হয়েছিলেন তিনি।

এমকে

Source link

Related posts

প্রথমবারের মতো ভিনগ্রহে মিলল পানির সন্ধান

News Desk

বিজয় ছাড়া শান্তি আসতে পারে না: ইউক্রেনের ফার্স্টলেডি

News Desk

করোনায় আক্রান্ত তসলিমা নাসরিন

News Desk

Leave a Comment