Image default
আন্তর্জাতিক

‘এরা খালি পকেট নিয়ে আসে, বিলিওনেয়ার হয়ে যায়’ : ফেলিক্স শিসেকেদি

কঙ্গো বিশ্বের কোবাল্ট আকরিক মজুদের ৬০ শতাংশেরও বেশি নিয়ন্ত্রণ করে। অন্যদিকে চীন বিশ্বের বৃহত্তম কোবাল্ট আমদানিকারক। প্রতি বছর প্রায় ৯৫ হাজার টন প্রয়োজন হয় চীনের। কিন্তু কঙ্গোর চেয়ে কোম্পানিগুলো বেশি লাভবান হচ্ছে, ফলে চীন অল্প দামে কোবাল্ট কিনতে পারছে।

এর জন্য ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর (ডিআরসি) প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স শিসেকেদি বিদেশি কোবাল্ট খনি কোম্পানিগুলোর সাথে করা বেশ কয়েকটি চুক্তি পর্যালোচনা করে দেখতে চান। কারণ চুক্তিগুলো খুবই অযৌক্তিকভাবে করা হয়েছে।

প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স শিসেকেদি বলেন, ‘আমি সত্যিই যথেষ্ট দেখেছি। কিন্তু এবার আমি এই বিনিয়োগকারীদের সাথে গুরুত্বের সঙ্গে বসতে চাই। এরা খালি পকেট নিয়ে আসে, বিলিওনেয়ার হয়ে বেরিয়ে যায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখন সময় এসেছে খনি শ্রমিকদের সাথে তার চুক্তি রদ করার, যাতে দেশের জন্য লাভজনক হয়। এই চুক্তিগুলো দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের দ্বারা খারাপভাবে আলোচনা করা হয়েছিল। ফলে রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আর সব তাদের পকেটে যাচ্ছে।’

এছাড়াও গত সপ্তাহে কাটঙ্গা প্রদেশের খনি শহর কোলওয়েজি পরিদর্শন করেন শিসেকেদি। সেখানে প্রায় ৪০টি খনি কোম্পানি কাজ করে, এর মধ্যে ৩০টিই চীনা মালিকানাধীন।

উল্লেখ্য, মধ্য আফ্রিকার দেশ কঙ্গো বিশ্বের সবচেয়ে বড় কোবাল্ট উৎপাদক, যা বৈদ্যুতিক যানবাহন এবং স্মার্টফোন, ট্যাবলেট এবং ল্যাপটপের মতো যন্ত্রপাতি তৈরিতে ব্যবহৃত ব্যাটারির একটি অপরিহার্য উপাদান।

মূলত সস্তায় কোবাল্ট পাওয়া জন্য ২০১২ সাল থেকে চীনা কোম্পানিগুলো কঙ্গোতে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি অর্থ ঢালছে। সূত্র: এএনআই

Related posts

মাহসা আমিনির মৃত্যু ঘিরে ইরানে ফের সংঘর্ষ, নিহত ৩

News Desk

অতর্কিত হামলার ঘটনায় ১১ পুলিশ কর্মকর্তা নিহত

News Desk

গ্রেপ্তার হতে পারেন ইরাকের সাবেক প্রধানমন্ত্রী

News Desk

Leave a Comment