আয়ারল্যান্ড গত কয়েক সপ্তাহে প্রায় এক হাজার ২০০ বিদেশিকে নাগরিকত্ব দিয়েছে। সাময়িক অনলাইন নাগরিকত্ব অর্পণ প্রক্রিয়ার অধীনে এই নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। জমা হওয়া আবেদনের চাপ কমাতে গত জানুয়ারিতে এই প্রক্রিয়াটি চালু করেছিল আইরিশ সরকার।
আয়ারল্যান্ডের বিচার মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই প্রক্রিয়াটি শুরু হওয়ার পর তারা চার হাজার আবেদনকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তাদেরকে নাগরিকত্ব ও আইরিশ রাষ্ট্রের আনুগত্য বিষয়ক ফরমে স্বাক্ষর করে শর্ত পূরণে উৎসাহিত করা হয়েছে। আবেদনকারীরা আড়াই বছরেরও বেশি সময় ধরে অপেক্ষায় ছিলেন।
এই এক হাজার ২০০ জনকে নাগরিকত্ব দেওয়ার মাধ্যমে ৩০ শতাংশ আবেদনকারীর আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়েছে। এদের মধ্যে বেশি সংখ্যক নাগরিক ব্রিটেন, পোলান্ড, ভারত, রোমানিয়া ও নাইজেরিয়ার।
বিচারমন্ত্রী হেলেন ম্যা কেনি বলেছেন, আরও এক হাজার ১৫৯ জন ফরমে স্বাক্ষর করেছেন। আসছে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।
অনেক দিন ধরেই আয়ারল্যান্ডের নাগরিকত্ব লাভের জন্য বহু আবেদন জমেছিল দেশটির সংশ্লিষ্ট দফতরে। আইরিশ টাইমসের তথ্য মতে, প্রায় ২৪ হাজার আবেদন জমা রয়েছে। যারা নাগরিকত্বের বিভিন্ন শর্ত পূরণ করে অপেক্ষায় রয়েছেন। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে দাফতরিক কার্যক্রম ব্যহত হওয়ায় এই জট ছাড়াতে জানুয়ারিতে অনলাইন প্রক্রিয়া চালু হয়।
আইরিশ বিচার মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা এসব আবেদন এক মাসের মধ্যে সমাধান করার পরিকল্পনা নিলেও বিভিন্ন কারণে এতে বেশি সময় লাগছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের যেসব দেশের নাগরিকরা আয়ারল্যান্ডের বিভিন্ন হসপিটাল বা কেয়ার হোমে কাজ করছে তাদের আবেদনগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনার দাবি জানিয়ে ছিলেন। গত কয়েক সপ্তাহে নাগরিকত্ব পাওয়া এক হাজার ২০০ জনের মাঝে স্বাস্থ্য বিভাগের লোক থাকলেও তাদের সংখ্যা স্পষ্ট করেননি বিচারমন্ত্রী হেলেন ম্যা কেনি।
তিনি জানান, জুনের শেষ দিকে দুই বছর ধরে অপেক্ষা করছেন এমন আরও আড়াই হাজার লোককে অনলাইন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। সব মিলে সাড়ে ছয় হাজার জনের নাগরিকত্ব আবেদনের জট ছাড়াতে আইরিশ সরকারের বিশেষ এই প্রক্রিয়ার সুবিধা পাবে।
এছাড়া নতুন করে যারা আবেদন করবেন তাদের জন্য সব ব্যবস্থা অনলাইন নির্ভর করারও একটি ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। নতুন নাগরিকত্ব পাওয়া লোকদের বিশেষ মুহূর্তটি উদযাপনের সুযোগ দিতে একটি ভার্চুয়াল উদযাপনের আয়োজন করা হবে বলে জানান মন্ত্রী। কারণ করোনার কারণে এখন সব আয়োজন বন্ধ রয়েছে।
এর আগে গত মাসে আয়ারল্যান্ডে জন্ম নেওয়া বিদেশি নাগিরকদের সন্তানদের জন্য নাগরিকত্বের শর্ত শিথিল করেছে দেশটির সরকার।

