ভারতের সর্বকনিষ্ঠ রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিলেন দ্রৌপদী মুর্মু
আন্তর্জাতিক

ভারতের সর্বকনিষ্ঠ রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিলেন দ্রৌপদী মুর্মু

ভারতের নতুন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে স্বাগত জানান রামনাথ কোবিন্দ। ছবি: টুইটার।

‘ভারতের দরিদ্র মানুষেরা স্বপ্ন পূরণ করতে পারেন’

ভারতের নতুন রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিলেন দ্রৌপদী মুর্মু। ইতিহাস গড়ে দেশটির পঞ্চদশ রাষ্ট্রপতি হিসেবে আজ সোমবার (২৫ জুলাই) শপথ নেন তিনি।

ভারতের পার্লামেন্টের সেন্ট্রাল হলে সকালে তাকে শপথবাক্য পাঠ করান সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এন ভি রমানা।

ভারতের সর্বকনিষ্ঠ এ রাষ্ট্রপতি তার বক্তব্যে বলেন, সকলের আশীর্বাদে আমি দেশের রাষ্ট্রপতি হয়েছি। আমি প্রগতিশীল একটি দেশের রাষ্ট্রপতি হয়েছি। নিজেকে খুব সৌভাগ্যবতী মনে হচ্ছে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

৬৪ বছর বয়সী দ্রৌপদী মুর্মু বলেন, আমিই দেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়া প্রথম ব্যক্তি যে ভারতের স্বাধীনতার পরে জন্মগ্রহণ করেছে। ভারতের নাগরিকদের কাছে আমার আবেদন, স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রত্যাশা পূরণ করতে আমাদের সকলকে একসঙ্গে চেষ্টা করতে হবে।

দ্রৌপদী আরও বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরে আমার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়েছিল। আর স্বাধীনতার ৭৫ বছরে আমি রাষ্ট্রপতি হিসাবে দায়িত্ব পেয়েছি। দেশের রাষ্ট্রপতি হওয়া আমার ব্যক্তিগত প্রাপ্তি নয়। এটি ভারতের প্রতিটি দরিদ্র মানুষের প্রাপ্তি। আমার রাষ্ট্রপতি হওয়া প্রমাণ করে যে ভারতের দরিদ্র মানুষেরা শুধু স্বপ্নই দেখেন না। সেই স্বপ্ন পূরণও করতে পারেন।

শপথ গ্রহণের পর ভারতের প্রথম এই আদিবাসী রাষ্ট্রপতিকে গান স্যালুট দেওয়া হবে। পরবর্তীতে সেন্ট্রাল হলে ভাষণ দেবেন তিনি।

১৯৫৮ সালের ২০ জুন তারিখে এক সাঁওতাল পরিবারে জন্ম দ্রৌপদীর। গ্রামেই স্কুলশিক্ষা। প্রাথমিক স্কুলে বরাবর লেখাপড়া ও খেলাধুলোয় প্রথম হতেন। গ্রামের প্রথম মহিলা হিসেবে ভুবনেশ্বরে পাড়ি দেন স্নাতক স্তরে শিক্ষালাভের জন্য। সেখানকার রামদেবী উইমেন্স কলেজে কলা বিভাগের স্নাতক। তার পর ওড়িশা সরকারের সেচ ও বিদ্যুৎ বিভাগে জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে চাকরি, পরে রায়রাংপুরের শ্রীঅরবিন্দ ইন্টিগ্রাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে শিক্ষকতা।

কলেজে পড়ার সময়ই তার পরিচয় ও ঘনিষ্ঠতা শ্যামচরণ মুর্মুর সঙ্গে। পরে তারা বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হন। তাদের তিন সন্তানের জন্ম হয়। ২০০৯ সালে এক ছেলে মারা যায়। যোগাভ্যাস শিক্ষা করে নিজেকে সামলে ওঠেন তিনি। কিন্তু আবার বছর চারেক পরই ছোট ছেলের মৃত্যু। তার মাসখানেকের মধ্যেই মা ও ছোট ভাই, পরের বছরেই স্বামীকেও হারান দ্রৌপদী। পরিবারের পাঁচ সদস্যকে হারিয়ে পুরোপুরি আধ্যাত্মিকতার পথ গ্রহণ করেন তিনি।

Source link

Related posts

উসকানির জবাব দেবে না ইউক্রেন

News Desk

১০৫ মিনিটে ৩৬টি বই শেষ করলো ৫ বছরের কিয়ারা

News Desk

অশান্ত হাওড়ায় হিন্দুর সৎকার করলেন সংখ্যালঘুরা, ভেদাভেদ নেই, বললেন পিতৃহারা ছেলে

News Desk

Leave a Comment