Image default
আন্তর্জাতিক

কঙ্গোতে সবচেয়ে বেশি মানুষ খাদ্যাভাবে ভোগেন

রাষ্ট্রসংঘের তরফে সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে জানানো হয়েছে খাদ্যের অভাব থেকে এখনও মুক্ত নয় আফ্রিকা। কঙ্গোর প্রায় ২৭ মিলিয়ন মানুষ এখনও সঠিত পরিমাণে খাবার পায় না। তীব্র ক্ষুধায় ভুগছে তারা। এটি আফ্রিকার এক তৃতীয়াংশ। আফ্রিকার মোট জনসংখ্যা ৮৭ মিলিয়ন। তার মধ্য়ে কঙ্গোতে সবচেয়ে বেশি মানুষ খাদ্যাভাবে ভোগেন।

বৃহস্পতিবার ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের দ্য ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল অর্গানাইজেশনের তরফে জানানো হয়েছে যাঁরা ক্ষুধা জনিত কারণে ভুগছেন তাঁদের মধ্যে ৭ মিলিয়ন মানুষের অবস্থা শোচনীয়। আইপিসি স্কেলে পরিমাপ করে তাদের ফুড সিকিউরিটি ক্রাইসিস ধরা পড়েছে। কঙ্গোর প্রায় ২৭.৫ মিলিয়ন মানুষের পরিস্থিতি এমন যে তাদের বাঁচাতে যত দ্রুত সম্ভব খাবারের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। সংস্থার তরফে এই খবর জানানো হয়েছে। আইপিসি এমার্জেন্সি লেভেল অনুযায়ী ২০ শতাংশ গৃহস্থবাড়িতে ভয়ানক খাদ্য সমস্যা। ফলে বড় রকমের অপুষ্টিতে ভোগেন তাঁরা। আর তার ফলে অনেক সময় তাঁদের মৃত্যুও হয়। ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের কঙ্গোর প্রতিনিধি পিটার মুসোকো জানিয়েছেন, এই প্রথম বার তাঁরা এত সংখ্যক মানুষের মধ্যে গবেষণা চালাতে পারলেন। আর তার ফলেই খাদ্য নিয়ে যে সংকট তৈরি হয়ে রয়েছে, তার এত কাছাকাছি আসতে পারলেন তাঁরা।

FAO ও WFP-র মতে, কঙ্গোর মানুষ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন শরণার্থীরা। এছাড়া কঙ্গোয় ফিরে আসা পরিবার, আবাসিক পরিবার, বন্যা, ধস, আগুন এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এমন পরিবার বেশিমাত্রায় খাদ্য় সংকটের শিকার। তাদের মতে সংঘাত এই খাদ্য সংকটের অন্যতম কারণ। পূর্বের ইতুরি, উত্তর ও দক্ষিণ কিভু এবং তাঙ্গানিকায়ার বৃহৎ অংশের পাশাপাশি কাসাইয়ের মধ্য অঞ্চলেও সংঘাতের কারণে ক্ষুধার সমস্যা প্রবল হয়েছে। এছাড়া কঙ্গোর অর্থনৈতির মন্দা এবং করোনা মহামারীর কারণে আর্থ-সামাজিক প্রভাবের ফলেও খাদ্য়ে টান পড়েছে। FAO-র কঙ্গোর প্রতিনিধি আরিস্টিড ওঙ্গোনে ওবাম বলেছেন, খাদ্য সংকট যেখানে গুরুতর সেখানে জন্ম এবং জীবিকার দিকে নজর দেওয়া উচিত।

Related posts

হিজাব বিরোধী আন্দোলনে যোগ দিল স্কুলছাত্রীরা

News Desk

৬০তম সন্তানের পরও আরো সন্তান চান বেগমরা

News Desk

অসম যুদ্ধে কোন জাদুবলে টিকে আছে ইউক্রেন

News Desk

Leave a Comment