এবার কাখোভকা বাঁধ অভিমুখে রুশ সেনারা
আন্তর্জাতিক

এবার কাখোভকা বাঁধ অভিমুখে রুশ সেনারা

কাখোভকা বাঁধ

গত আট মাস ধরে ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ চালাচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পরাশক্তি রাশিয়া। ক্ষতবিক্ষত হয়েছে ইউক্রেন। এ সময়ে দেশটির পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চল কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

এরই মধ্যে দেশটির চারটি অঞ্চল দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, জাপোরিঝিয়া ও খেরসন- গণভোটের মাধ্যমে রাশিয়ার সঙ্গে একীভূত করে নিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। কিন্তু বর্তমানে এ অঞ্চলগুলো পুনরুদ্ধার করতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে ইউক্রেন। এতে হামলার পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে রুশ কর্তৃপক্ষ। খবর বিবিসি, ডয়েচে ভেলের।

এরই অংশ হিসেবে সম্প্রতি রাজধানীর কিয়েভসহ বিভিন্ন শহরে ৮০টির বেশি ক্ষেপনাস্ত্র হামলা চালিয়ে দেশটির বিদ্যুৎ খাতে বিপর্যয় নামিয়ে এনেছে রাশিয়া।

সামনে শীত। বরফে ঢেকে যাবে দেশটি। বিদ্যুৎ ছাড়া জীবনধারণ অসম্ভব। এ অবস্থায় পাওয়ার গ্রিডগুলোতে হামলা শুরু করেছে রাশিয়া। ইউক্রেনের ৪০ শতাংশ পাওয়ারগ্রিড ইতোমধ্যে ধ্বংস হয়ে গেছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মস্কোর পরবর্তী নিশানা ইউক্রেনের একটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প লাগোয়া জলাধার।দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এমন অভিযোগ করেছেন। তিনি সতর্ক করেছেন, রাশিয়া যদি জলাধারে হামলা চালিয়ে বাঁধ ধ্বংস করে দেয়, তা বড়সড় বিপর্যয় ডেকে আনবে।

বিবিসিকে দেওয়া বার্তায় জেলেনস্কি দাবি করেন, নিপ্রো নদীতে মাইন ফেলেছে রুশ বাহিনী। তাদের পরবর্তী লক্ষ্য, নিপ্রো নদীর ওপরে কাখোভকা ড্যাম। জলাধারটি রুশনিয়ন্ত্রিত এলাকায় রয়েছে। কিন্তু ক্রমশ সেদিকে এগিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। কাখোভকা ড্যাম মস্কোর হাত থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ছে।

জেলেনস্কির দাবি, এর জন্যই পাল্টা রণকৌশল নিয়েছে ক্রেমলিন। তারা উল্টো অভিযোগ করা শুরু করছে যে, কাখোভকা ড্যাম লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ছেন কিয়েভের সেনারা।

জেলেনস্কি বলেন, এই জলাধার যদি কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তা হলে দেশের দক্ষিণাংশে পানি সরবরাহ প্রায় বন্ধ হয়ে যাবে। জাপোরিঝিয়ায় ইউরোপের সর্ববৃহৎ পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রটিও পানির অভাবে স্থবির হয়ে যাবে।

জেলেনস্কির ভাষায়, এ জলাধারে যে পরিমাণ পানি ধরে, তাতে এটি বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেওয়া হলে খেরসনসহ ৮০টি এলাকা পানির তলায় চলে যাবে। ভয়াবহ বন্যা দেখা দেবে। হাজার হাজার মানুষের চরম পরিণতি হবে।

এছাড়াও নর্থ ক্রাইমিয়ান ক্যানাল সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন হবে। তাতে পানিহীন হয়ে যাবে ক্রিমিয়াও। কারণ ক্রিমিয়ার ৮০ শতাংশ পানি সরবরাহ হয় এ ক্যানেল দিয়ে।

Source link

Related posts

মার্কিন নাগরিকদের রাশিয়া ত্যাগের নির্দেশ

News Desk

ব্রিটেনের রানির চেয়েও আবের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় খরচ বেশি

News Desk

শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক, তৃতীয় ভারতের আদানি

News Desk

Leave a Comment