Image default
আন্তর্জাতিক

অপ্রতিরোধ্য সারমাত ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করছে রাশিয়া

আধুনিক সব প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের যেকোনও লক্ষ্যে পারমাণবিক হামলা চালাতে সক্ষম সদ্য পরীক্ষা চালানো আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) ‘সারমাত’ মোতায়েনের পরিকল্পনা করছে রাশিয়া। আগামী শরতের মধ্যে এই ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা হবে বলে শনিবার দেশটির একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

রুশ মহাকাশ গবেষণা সংস্থা রোসকসমসের প্রধান দিমিত্রি রোগোজিন নতুন এই ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের উচ্চাভিলাষী সময়ের কথা জানিয়েছেন। মাত্র গত বুধবার রাশিয়া প্রথমবারের মতো এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। পশ্চিমা সামরিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মোতায়েনের আগে ক্ষেপণাস্ত্রটির ব্যাপারে আরও অনেক কিছু প্রয়োজন।

রাশিয়ার নতুন ভারী আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র সারমাত একসঙ্গে ১০ কিংবা তারও অধিক ওয়ারহেড বহনে সক্ষম। গত কয়েক বছর ধরে রাশিয়া এই অস্ত্র তৈরির প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে। রাশিয়া থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে যুক্তরাষ্ট্র অথবা ইউরোপে আঘাত হানতে সক্ষম সারমাত।

তহবিল সঙ্কট এবং প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে ক্ষেপণাস্ত্রটির পরীক্ষা দীর্ঘদিন বিলম্বিত হওয়ার পর গত সপ্তাহে প্রথমবারের মতো সফল হয় রাশিয়া। দেশটির সামরিক শক্তির প্রদর্শন এমন এক সময়ে করা হয়েছে, যখন ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের সাথে রাশিয়ার চরম উত্তেজনা চলছে।
. . . . . . . . . . . . . . . .
রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রোগোজিন বলেছেন, মস্কো থেকে প্রায় ৩ হাজার কিলোমিটার দূরের সাইবেরিয়ার ক্রাসনোইয়ারস্ক অঞ্চলে এই ক্ষেপণাস্ত্রটির একটি ইউনিট মোতায়েন করা হবে।

তিনি বলেন, সোভিয়েত আমলের ভয়েভোদা ক্ষেপণাস্ত্র তুলে নিয়ে নতুন ক্ষেপণাস্ত্র সারমাত মোতায়েন করা হবে। এর ফলে প্রচুর অর্থ এবং সময় বেঁচে যেতে পারে। রোগোজিন বলেন, সুপার-অস্ত্র সারমাত মোতায়েন একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। যা আগামী ৩০ থেকে ৪০ বছর রুশ সন্তান এবং তাদের নাতি-নাতনিদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেবে।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আক্রমণ শুরুর পর থেকে পারমাণবিক যুদ্ধের ঝুঁকি নিয়ে পশ্চিমা উদ্বেগ বেড়েছে। ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর আগে দেওয়া এক ভাষণে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মস্কোর পারমাণবিক শক্তির ইঙ্গিত দিয়েছিলেন এবং সতর্ক করে বলেছিলেন, রাশিয়ার এই অভিযান বন্ধের যেকোনও প্রচেষ্টা ‘বিশ্বকে এমন পরিণতির দিকে নিয়ে যাবে, যা কেউ কখনও তাদের ইতিহাসে মুখোমুখি হয়নি।’

গত মাসে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস বলেছিলেন, পারমাণবিক সংঘাতের ঝুঁকি এক সময় অচিন্তনীয় ছিল, এখন তা সম্ভাবনার রাজ্যে ফিরে এসেছে।

Related posts

‘বন্ধু-বলয়’ বাড়াতে চায় চীন

News Desk

অমিক্রনে সুরক্ষা পাওয়ার ৬ উপায় জানাল ডব্লিউএইচও

News Desk

প্রথমবার বাকিংহাম প্যালেসে চার্লস-ক্যামিলা

News Desk

Leave a Comment