দুদকের মামলায় রূপালী ব্যাংক লিমিটেডের বরখাস্তকৃত কর্মকর্তা পলাতক আবদুল লতিফ ভূঁইয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে নোয়াখালীর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এ এন এম মোর্শেদ খান এ রায় প্রদান করেন।
দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবুল কাশেম জানান, ১৯৯৫ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত লক্ষ্মীপুরের রূপালী ব্যাংক পোদ্দার বাজার শাখায় ২য় কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন আবদুল লতিফ ভূঁইয়া। ওই সময়কালে ব্যাংকের চার কোটি ৭২ লক্ষ ৫৮ হাজার ৭৪ টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে বিতরণ করেন তিনি।
এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে ব্যাংক মামলা দায়ের করে। পরে মামলাটি দুদক তদন্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করে। দুদকের সাবেক সহকারী পরিচালক বর্তমানে উপপরিচালক নুরুল হুদা এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তা পলাতক রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার নোয়াখালী বিশেষ জজ আদালতের বিচারক তাকে দণ্ডবিধি ৪০৯ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করেন এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় দোষী সাব্যস্ত ক্রমে তাকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেন।
উভয় দণ্ডে দণ্ডিত বরখাস্তকৃত পলাতক আবদুল লতিফ ভূঁইয়া কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার উপজেলার ধামতি গ্রামের মৃত আবদুল গফুর ভূঁইয়ার ছেলে।