জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত চিত্রগ্রাহক জেডএইচ মিন্টু মারা গেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন। আজ শুক্রবার ভোর ৬টায় নিজ বাসায় ৬৬ বছর বয়সে মারা যান তিনি। তাঁর মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র চিত্রগ্রাহক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মজনু।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রায় তিন মাস আগে মিন্টু স্ট্রোক করেন। সর্বশেষ রাজধানীর মহাখালীর মেট্রোপলিটন হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। প্রথমে তাঁর ব্রেন টিউমার ধরা পড়ে। পরে নিউরো সার্জন অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়ার তত্ত্বাবধানে মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। সফলভাবে মস্তিষ্ক থেকে টিউমার অপসারণ করা হলেও বায়োপসিতে ব্রেন ক্যানসার ধরা পড়ে। এরপর তাঁকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু রেডিওথেরাপি নেওয়ার মতো শারীরিক অবস্থা না থাকায় চিকিৎসকের পরামর্শে তাঁকে গত রোববার বাসায় আনা হয়।
  জেডএইচ মিন্টু ছিলেন একাধারে প্রযোজক ও পরিচালক। তিনি ‘শুভদা’, ‘চন্দ্রনাথ’, ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’, ‘চাঁদনী’, ‘আত্ম অহংকার’, নিঝুম অরণ্য’সহ দেড় শতাধিক সিনেমার চিত্রগ্রাহক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
  জেডএইচ মিন্টু ছিলেন একাধারে প্রযোজক ও পরিচালক। তিনি ‘শুভদা’, ‘চন্দ্রনাথ’, ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’, ‘চাঁদনী’, ‘আত্ম অহংকার’, নিঝুম অরণ্য’সহ দেড় শতাধিক সিনেমার চিত্রগ্রাহক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
দুই বাংলার বরেণ্য চলচ্চিত্র চিত্রগ্রাহক সাধন রায়ের সহকারী হিসেবে জেডএইচ মিন্টুর চলচ্চিত্রে পথচলা শুরু হয়। এরপরে আব্দুল লতিফ বাচ্চু ও বরেণ্য চিত্রগ্রাহক মাহফুজুর রহমানের সঙ্গে দীর্ঘদিন সহকারী হিসেবে কাজ করেন তিনি। মিন্টু বাংলাদেশ চলচ্চিত্র চিত্রগ্রাহক সংস্থার সাবেক এই সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।
মুক্তিযুদ্ধ ও পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট-পরবর্তী বদলে যাওয়া রাজনীতির গল্প নিয়ে জেড এইচ মিন্টু ২০২০-২১ অর্থবছরে সরকারি অনুদানে ‘ক্ষমা নেই’ নামের একটি সিনেমা পরিচালনা করেন। ‘পোস্ট মাস্টার ৭১’ সিনেমার জন্য জেড এইচ মিন্টু জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।

