অভিনয় থেকে কঙ্গনা রনৌত রাজনীতিতে এসেছেন বেশি দিন হয়নি। সবে এক বছর হয়েছে তাঁর সংসদ সদস্য হওয়ার। আর এর মধ্যেই রাজনীতি নিয়ে বিরক্ত কঙ্গনা রনৌত। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নেত্রী ও অভিনেত্রী জানিয়েছেন, বলিউডের মতো রাজনীতির ময়দানেও প্রতিদিন কঠিন সব চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁকে।
সাধারণ মানুষের ছোটখাটো সমস্যা শুনতে শুনতে বেজায় বিরক্ত কঙ্গনা। বিরক্তি নিয়েই অভিনেত্রী বললেন, ‘সাংসদ হয়ে পঞ্চায়েতের বিধায়ক লেভেলের কাজ কেন করব?’
সম্প্রতি এক পডকাস্টে নিজের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেন কঙ্গনা। অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি বেশ বুঝতে পারছি, রাজনীতি একেবারে অন্যরকম একটা কাজ। মূলত সমাজসেবা করা। একেবারেই বলব না, আমি এটা উপভোগ করছি। কারণ আমার রাজনৈতিক কোনো ব্যাকগ্রাউন্ড নেই। অতীত অভিজ্ঞতাও নেই। তাই আমি কোনো দিন মানুষের সেবা করব বলে ভাবিনি। নারীদের অধিকার আদায়ের জন্য আওয়াজ তুলেছি। তবে সেটার সঙ্গে জনপ্রতিনিধি হয়ে সাধারণ মানুষের কাজ সামলানোর কোনো মিল নেই।’
আচমকাই কেন এমন উপলব্ধি কঙ্গনা রনৌতের? হিমাচল প্রদেশের মান্ডির সাংসদ বলছেন, ‘নারী ক্ষমতায়নের জন্য লড়াই করা আর কারও বাড়ির ভেঙে যাওয়া নর্দমা সারাই করানো নিয়ে মাথা ঘামানো এক বিষয় নয়। মাঝেমধ্যে মনে হয়, আমি তো সাংসদ, আর এই লোকগুলো আমার কাছে পঞ্চায়েত লেভেলের সমস্যাগুলো নিয়ে কেন আসছে?’
কঙ্গনা রনৌত। ছবি: সংগৃহীত
তিনি বলেন, ‘ওদের সত্যিই কিছু যায়-আসে না। যখনই আমাকে দেখবে, তখনই এসে সমস্যার কথা বলবে। কেউ ভাঙা রাস্তার কথা বলে, আবার কেউ অন্য সমস্যা নিয়ে আসে। আমি তাদের বলি, এটা তো রাজ্য সরকারের দেখা উচিত। আমাকে তারা বলে—আপনার তো অনেক টাকা আছে, নিজের টাকা দিয়েই রাস্তাটা বানিয়ে দিন।’
ভবিষ্যতে নিজেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান? এমন প্রশ্নের জবাবে কঙ্গনার কণ্ঠে আত্মসমর্পণের সুর, ‘আমার মনে হয় না আমি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্য, আর আমার সেই ইচ্ছেও নেই।’ রাজনীতিতে অভিষেকের এক বছর ঘুরতেই কঙ্গনার এমন মন্তব্যকে ইঙ্গিতপূর্ণ মনে করছেন অনেকে। প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি রাজনীতি ছেড়ে দিচ্ছেন অভিনেত্রী?