‘রং দে বাসন্তি’, ‘ভাগ মিলখা ভাগ’, ‘তুফান’সহ অনেক জনপ্রিয় সিনেমার নির্মাতা রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরা। বোম্বে টাইমসকে তিনি জানালেন নিজের পছন্দের তিনটি সিরিজের নাম। কেন পছন্দ সিরিজগুলো, জানালেন সেটাও।
সাকসেশন
এইচবিওর সিরিজ ‘সাকসেশন’ তৈরি হয়েছে রয় পরিবারকে কেন্দ্র করে, যারা একটি প্রভাবশালী মিডিয়া এবং এন্টারটেইনমেন্ট গ্রুপের মালিক। এ পরিবারের প্রধান অসুস্থ হওয়ার পর দ্বন্দ্বে জড়ায় তার চার সন্তান। মিডিয়া গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য তারা পরস্পরের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করে। এইচবিওতে ২০১৮ সালে শুরু হয়েছিল সিরিজটির প্রচার; চতুর্থ এবং শেষ সিজন প্রচারিত হয় ২০২৩ সালে। সাকসেশন সিরিজটি নিয়ে রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরা বলেন, ‘সাকসেশন দেখার পর থেকে এর ঘোরে আছি। পাঁচ বছর আগে সিরিজটি নিয়ে যখন হইচই চলছিল, তখন এটা দেখিনি। মাস তিনেক আগে দেখা শুরু করি। এক সপ্তাহেই চারটি সিজন শেষ করেছি।’
‘দ্য বিয়ার’ সিরিজের দৃশ্য
দ্য বিয়ার
কমেডি ড্রামা ‘দ্য বিয়ার’-এর প্রথম সিজন প্রকাশ পায় ২০২২ সালে, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হুলুতে। সর্বশেষ এ বছরের জুলাইয়ে এসেছে চতুর্থ সিজন। কারমি বারজাত্তো নামের এক বিখ্যাত শেফকে নিয়ে সিরিজের কাহিনি। ভাইয়ের মৃত্যুর পর নিজের বাড়িতে ফিরে আসে কারমি। পারিবারিক রেস্তোরাঁর দায়িত্ব নেয়। রেস্তোরাঁটি আগের চেহারায় ফিরিয়ে আনতে নানা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যেতে হয় তাকে। সিরিজটি নিয়ে রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরার মন্তব্য, ‘দ্য বিয়ারের সব সিজন অনেকের পছন্দ না-ও হতে পারে। তবে আমার কিন্তু সিরিজটি বেশ লেগেছে।’
‘স্কুইড গেম’ সিরিজের দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত
স্কুইড গেম
ভিন্নধর্মী প্লটের কারণে ২০২১ সালে প্রথম সিজনেই আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসে কোরিয়ান সিরিজ ‘স্কুইড গেম’। তৃতীয় এবং শেষ সিজনটি প্রচারিত হয়েছে এ বছর। শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আর্থিক দুর্দশাগ্রস্ত মানুষকে খুঁজে আনা হয়। তাদের ঠেলে দেওয়া হয় একটি ভয়ংকর খেলায়। এ খেলায় জয়ী হতে পারলে রয়েছে ধনী হওয়ার সুযোগ। আর হেরে গেলে নিশ্চিত মৃত্যু। সিরিজটি নিয়ে রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরা বলেন, ‘স্কুইড গেমের আইডিয়া আমার খুব ভালো লেগেছে। গল্পের কেন্দ্রে আছে লোভ, অর্থ আর পশ্চিমাদের শোষণ। অসাধারণ কনসেপ্ট। প্যারাসাইট সিনেমাটি যেভাবে আমাদের কাঁদিয়েছিল, সেভাবে স্কুইড গেমও চোখে জল আনে।’