Image default
বিনোদন

নির্বাসিত এক বিশ্বনন্দিত অভিনেত্রীর কথা

গুলসিফতেহ ফারহানির বাবা ইরানের চলচ্চিত্র পরিচালক ও অভিনেতা। তাই বলে অভিনেত্রী হওয়ার লড়াইটা এতটুকু সহজ ছিল না তাঁর। পাঁচ বছর বয়স থেকেই পিয়ানো বাজানোয় সুনাম অর্জন করেছিলেন। ছয় বছর বয়সে শুরু করেন অভিনয়।

১৪ বছর বয়সে দ্য পিয়ার ট্রি সিনেমায় চোখে লেগে থাকা অভিনয় করে নামী সব অভিনেত্রীকে পেছনে ফেলেন। সেবার তেহরানে অনুষ্ঠিত ১৬তম ফজর ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার শোভা পেয়েছিল তাঁর হাতে। ২০০৯ সালে আসগর ফরহাদির সাইকোলজিক্যাল ড্রামা অ্যাবাউট এলিতে অভিনয়ের পর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।

কিন্তু এটিই তাঁর শেষ ইরানি ছবি। কারণ, নির্বাসিত হয়ে তাঁকে থাকতে হয় ইরানের বাইরে। তারপর থেকেই মূলত ফ্রান্সে থাকেন ফারহানি। অস্থায়ী বাসা বাঁধেন পর্তুগাল, স্পেন বা যুক্তরাষ্ট্রেও। এই অভিনেত্রী ভারতের দ্য হিন্দু পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন ক্যারিয়ার আর নির্বাসিত জীবনের কথা।

গুলসিফতেহ ফারহানি হলিউডে পা রাখা প্রথম ইরানি অভিনেত্রী। ২০০৮ সালে লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওর সঙ্গে বডি অব লাইস সিনেমায় অভিনয় করা ছিল তাঁর স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতো। কিন্তু এরপর থেকেই ইরান সরকার তাঁকে নিষিদ্ধ করে।

এ প্রসঙ্গে ফারহানি বলেন, ‘আমি ছোটবেলা থেকেই প্রতিবাদী ছিলাম। সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমি সোচ্চার ছিলাম। নির্বাসন মৃত্যুর মতো। কিন্তু আমার কাছে অন্যায়ের সঙ্গে আপস করে চলা মৃত্যুর চেয়েও যন্ত্রণাদায়ক। আমি যা, আমি তা–ই আর সেভাবেই ফ্রান্সে আছি। ফ্রান্স আর আমি দুজনই দুজনকে আপন করে নিয়েছি।’

ফারহানিকে শেষ দেখা গেছে এক্সট্র্যাকশন সিনেমায়, ক্রিস হেমসওর্থের সঙ্গে। এর আগে তিনি ইরফান খানের সঙ্গে দ্য সং অব স্করপিয়নস সিনেমায় অভিনয় করে দারুণ প্রশংসা কুড়ান।

Related posts

আঠারো বছরে ‘হৃদয়ে মাটি ও মানুষ’

News Desk

১ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ পাবেন জনি ডেপ, মামলা নিষ্পত্তিতে রাজি অ্যাম্বার হার্ড

News Desk

ত্রিশ বছর আগে এক এতিম শিশু যেভাবে বদলে দেয় সুম্মিতা সেনের জীবনবোধ

News Desk

Leave a Comment