এ নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্র শুভঙ্কর। সে এই ভোগবাদী সমাজের স্বপ্ন ও বাস্তবতার বিস্তর ফারাক নিয়ে বড় হয়ে ওঠা এক নতজানু নাগরিক। তবে সময়ের প্রয়োজন ঠিকই সে নামে রাজপথে।
ঢাকার মঞ্চে আসছে তীরন্দাজ রেপার্টরির নতুন নাটক ‘শুভঙ্কর হাত ধরতে চেয়েছিল’। দীপক সুমনের গল্পে নাট্যরূপ দিয়েছেন ঋজু লক্ষ্মী অবরোধ। নির্দেশনায় আছেন দীপক সুমন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের স্পিরিটকে উপজীব্য করে তৈরি নাটকটি পৃষ্ঠপোষকতা করেছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। আগামী ১ আগস্ট রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল হলে সন্ধ্যা ৭টায় হবে নাটকটির উদ্বোধনী প্রদর্শনী।
নির্দেশক জানিয়েছেন, এ নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্র শুভঙ্কর। সে এই ভোগবাদী সমাজের স্বপ্ন ও বাস্তবতার বিস্তর ফারাক নিয়ে বড় হয়ে ওঠা এক নতজানু নাগরিক। তবে সময়ের প্রয়োজন ঠিকই সে নামে রাজপথে। যুদ্ধের চিরাচরিত নিয়ম সম্ভবত এই যে কেউ পুড়ে যায় বলেই কেউ আলো পায়। আর সেই নিয়মেই ভিড়ের ভেতর শুভঙ্কর হারিয়ে যায় অথবা আমরাই হয়তো হারিয়ে ফেলি তাকে। এ নাটকের বিভিন্ন চরিত্রের মধ্য দিয়ে আমরা মনে করিয়ে দিতে চাই, সব হারিয়ে যাওয়া জীবনের প্রতি আমাদের দায় আছে।
শুভঙ্কর হাত ধরতে চেয়েছিল নাটকের মহড়ার দৃশ্য। ছবি: নির্দেশকের সৌজন্যে
নির্দেশক ও অভিনেতা দীপক সুমন বলেন, ‘গত এক বছর পৃথিবীর আর সব দেশের মতো এ দেশও অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে বেশ অস্থিরতার মধ্য দিয়ে অতিক্রান্ত হয়েছে। সেই অস্থিরতা, উদ্বিগ্নতার ছাপ আমাদের নাট্য প্রযোজনাতেও আছে। তাতে নাট্যের নান্দনিকতা ক্ষুণ্ন হয়েছে হয়তো, কিন্তু এ বাস্তবতা আমাদের এক নতুন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। সেই অভিজ্ঞতা দর্শকদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেব শুভঙ্কর হাত ধরতে চেয়েছিল নাটকের মধ্য দিয়ে।’
নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করছেন নিলয় কুমার বিশ্বাস, সারাহ মীম, সাগর মৈত্রী, ফারজানা মেহেজাবীন, কৌশিক আহমেদ, মাহিমা সাদিক লিমা, সাদিয়া শাহীন অন্তু, মানসিফ তাজরিয়ান, বাপ্পি হায়দার প্রমুখ। সহকারী নির্দেশনায় আছেন মুনিরা মাহজাবিন মিমো। শব্দ ও সংগীত পরিকল্পনায় সালিম শাদমান, জামিল হোসেন সাজু, আলোক পরিকল্পনায় আছেন মোখলেসুর রহমান।