টাইটানিকে জ্যাক বেঁচে থাকতে পারত, ২৫ বছর পর সেই দৃশ্য নিয়ে যা বললেন নির্মাতা 
বিনোদন

টাইটানিকে জ্যাক বেঁচে থাকতে পারত, ২৫ বছর পর সেই দৃশ্য নিয়ে যা বললেন নির্মাতা 

হলিউডের টাইটানিক সিনেমা মুক্তির ২৫ বছর পেরিয়ে গেলেও সিনেমার শেষ দৃশ্য তৃপ্তি মেটাতে পারেনি অনেকের। ছবির নায়ক জ্যাক ও নায়িকা রোজের গভীর ভালোবাসার মধ্যে সমুদ্রে জাহাজডুবির নির্মমতা মেনে নিলেও, রোজকে বাঁচিয়ে রেখে জ্যাকের হিমশীতল পানিতে ডুবে মরে যাওয়াকে নিষ্ঠুরতা বলে মনে করছেন সমালোচকেরা। সমালোচকদের দাবি, জ্যাককে লড়াই করার পর্যাপ্ত সুযোগ দেওয়া হয়নি ছবিতে। তাঁর চরিত্রটিকে যেন বলি দেওয়ার জন্যই তৈরি করেছিলেন চলচ্চিত্রটির নির্মাতা জেমস ক্যামেরন। এত দিন এই অভিযোগের বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন নির্মাতা জেমস ক্যামেরন। এবার এ বিষয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন তিনি। 

টাইটানিক ছবির ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে ন্যাশনাল জিওগ্রাফির তথ্যচিত্র ‘টাইটানিক: ২৫ ইয়ারস লেটার উইথ জেমস ক্যামেরন’-এর প্রিমিয়ার হবে আগামীকাল রোববার। এ উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় টেলিভিশন শো ‘গুড মর্নিং আমেরিকা’র একটি অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন ক্যামেরন। গুড মর্নিং আমেরিকার অফিশিয়াল টুইটারে সেই অনুষ্ঠানের একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়। সেখানেই জেমস ক্যামেরন পুরোনো বিতর্কটির ব্যাখ্যা দিয়েছেন। 

ক্যামেরন বলেন, সেই রাতে জ্যাক (অভিনেতা লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও) হয়তো প্রাণে বেঁচে যেতে পারতেন। সামুদ্রিক এই দুর্ঘটনা হয়তো মোকাবিলা করা যেত। কিন্তু রোজ (অভিনেত্রী কেট উইন্সলেট) যে ভাঙা দরজায় ভর দিয়ে সমুদ্রে ভেসে ছিল, তার ওপর চড়লেই যে জ্যাক বেঁচে যেত তা নয়। তার বাঁচার অন্য আরও উপায় ছিল। 

একটি বিশেষজ্ঞ দল ও দুজন স্টান্ট পারফরমারকে সঙ্গে নিয়ে ক্যামেরন সেই রাতে কী কী হতে পারত সেই সম্ভাবনাগুলো খতিয়ে দেখেন। জ্যাক ও রোজ কী অবস্থার মধ্য দিয়ে গিয়েছিলেন, সেই সঙ্গে তাঁরা যে সমাধানগুলো করার চেষ্টা করতে পারতেন, তা পুনরায় নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে গিয়েছেন ক্যামেরন। 

২৫ বছর পর সেই দৃশ্য নিয়ে মুখ খুললেন নির্মাতা। ছবি: টুইটার ক্যামেরন বলেন, রোজ ও জ্যাক যদি দুজনেই সেই দরজায় ভর দিয়ে শরীরের ওপরের অংশ ভাসিয়ে রাখতেন এবং রোজ যদি তাঁর লাইফ জ্যাকেটটি দিয়ে জ্যাককে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করতেন তাহলে জ্যাকের বেঁচে থাকার সুযোগ ছিল। 

যদিও জ্যাককে এমনভাবে বাঁচিয়ে রাখা কঠিন ছিল বলে দাবি ক্যামেরনের। কারণ, এখানে সমস্যাটা বাহ্যিক নয়। মৃত্যুর কারণ লুকিয়ে ছিল জ্যাকের চরিত্রের মনোভাবের কারণে। ক্যামেরনের কথায়, জ্যাক এমন কোনো কাজ করতেই পারেন না, যাতে রোজ এতটুকু সমস্যায় পড়েন। এর চেয়ে মৃত্যুই তাঁর কাছে স্বস্তির ছিল। এটাই ছিল এই চরিত্রের শতভাগ বৈশিষ্ট্য। 

২০১৭ সালে ভ্যানিটি ফেয়ারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্যামেরন জানিয়েছিলেন, জ্যাক বেঁচে থাকলে চলচ্চিত্রের সমাপ্তি অর্থহীন হয়ে যেত। চলচ্চিত্রটি মৃত্যু ও বিচ্ছেদের ওপর ভিত্তি করে যেহেতু তৈরি; তাই জ্যাককে মরতে হয়েছিল।

১৯৯৭ সালে মুক্তি পাওয়া টাইটানিক ছবিটি ২০০৯ সালের আগ পর্যন্ত হলিউডের সর্বকালের সবচেয়ে ব্যবসাসফল সিনেমা ছিল। ২০০৯ সালে ক্যামেরনেরই আরেকটি সিনেমা নতুন রেকর্ড গড়ে। তাঁর নির্মিত ‘অ্যাভাটার’ ছবিটি সারা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেয়। হলিউডে টাইটানিককে ছাড়িয়ে ব্যবসাসফল সিনেমার নির্মাতা হিসেবে এখনো শীর্ষে অবস্থানেই রয়েছেন জেমস ক্যামেরন।  

Source link

Related posts

জীবনের প্রথম লাইভ পারফর্মেন্সের স্মৃতিচারণ করলেন অমিতাভ বচ্চন

News Desk

নাসির উদ্দিনসহ আটক ৫, পরীমণি বললেন ‘এখন বাঁচতে পারব’

News Desk

ইসরায়েলি সেনার গুলিতে ফিলিস্তিনি অভিনেত্রী গুরুতর আহত

News Desk

Leave a Comment