বড় অঙ্কের প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার বলিউড অভিনেত্রী আলিয়া ভাটের সাবেক ব্যক্তিগত সহকারি বেদিকা শেঠি। ৩২ বছর বয়সী এই নারী ২০২১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আলিয়ার ব্যক্তিগত সহকারি হিসেবে কাজ করেছেন। এ সময়ে অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট ও তাঁর প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ৭৭ লাখ রুপি গায়েব করে দিয়েছেন।
এ বছরের জানুয়ারিতে আলিয়ার মা সোনি রাজদান থানায় অভিযোগ জানানোর পর প্রকাশ্যে আসে বেদিকার কুকীর্তি।
সোনি রাজদানের অভিযোগের ভিত্তিতে কয়েক মাস আগে পুলিশ এই মামলার তদন্ত শুরু করে। মামলাটি নথিভুক্ত হওয়ার প্রায় পাঁচ মাস পর অভিযুক্ত বেদিকা শেঠিকে বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। গত মঙ্গলবার তাকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত বেদিকাকে ১০ জুলাই পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানা গেছে, পেমেন্ট সংক্রান্ত বিষয়, সময়সূচি পরিকল্পনা করাসহ আলিয়া ভাটের যাবতীয় বিষয় দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন বেদিকা শেঠি। আলিয়ার সই জাল করে ২০২২ থেকে ২০২৪-এর আগস্টের মধ্যে ধাপে ধাপে দুটি অ্যাকাউন্ট থেকে ৭৬ দশমিক ৯ লাখ রুপি আত্মসাৎ করেছেন বেদিকা।
তবে দুই বছরেও বিষয়টি বুঝতে পারেননি আলিয়া। টের পেয়েছিলেন অভিনেত্রীর মা সোনি রাজদান। বেদিকা শেঠির বিরুদ্ধে বিশ্বাসভঙ্গ ও প্রতারণার অভিযোগ করেছিলেন থানায়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। বেদিকার বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়ার পরেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আলিয়া ভাট। ছবি: সংগৃহীত
ইতিমধ্যেই বেদিকার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪০৬ (ফৌজদারি বিশ্বাস লঙ্ঘন) এবং ৪২০ (প্রতারণা) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মুম্বাইয়ের মারোলের এনজি কোঅপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি রোডের বাসিন্দা বেদিকা। পরিকল্পিতভাবেই তিনি আলিয়া এবং তাঁর প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। নায়িকার সহকারি হিসাবে তাঁর ওপর আর্থিক লেনদেনের গুরুদায়িত্ব দিয়েছিলেন আলিয়া। কিন্তু সেটির অপব্যবহার করেছেন বেদিকা।
তাঁর বিরুদ্ধে সোনি রাজদান থানায় অভিযোগ জানানোর পর থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন বেদিকা। প্রথমে রাজস্থান, এরপর কখনো কর্নাটক, পুনে এবং সর্বশেষ বেঙ্গালুরুতে তাঁর অবস্থান শনাক্ত করে পুলিশ। অবশেষে জুহু পুলিশ বেঙ্গালুরু থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে সক্ষম হয়।