অনন্তর বিরুদ্ধে মামলা করবেন ইরানি নির্মাতা
বিনোদন

অনন্তর বিরুদ্ধে মামলা করবেন ইরানি নির্মাতা

অনন্ত জলিলের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ‘দিন-দ্য ডে’ সিনেমার পরিচালক মুর্তজা আতাশ জমজম। তিনি তাঁর ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে পোস্ট দিয়ে বলেন, ‘এই সিনেমার শুরুতে যে সব চুক্তি ছিল তার কিছুই রক্ষা করেননি জলিল। এই সিনেমায় আমার অর্ধেক প্রোডাকশন জলিল নষ্ট করে নিজের মতো করে সিনেমা বানিয়েছেন, যেখানে আমিও সিনেমার কো-প্রডিউসার।’

নির্মাতা মর্তুজা জানিয়েছেন, চার বছর ধরে তাঁর অংশের টাকা ফেরত দেওয়ার অনুরোধ করেছেন অনন্তকে। চাইলে ইরানি টিমের নামও বাদ দিতে পারবেন অনন্ত জলিল, কিন্তু তিনি টাকা ফেরত দেননি, যোগাযোগও করেননি। তাই এবার আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন এই ইরানি পরিচালক।

গেল ঈদে মুক্তি পায় বাংলাদেশ-ইরান যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ‘দিন দ্য ডে’। এই সিনেমার ইরানি অংশের প্রযোজক ও পরিচালক মুর্তজা আতাশ জমজম। বাংলাদেশ অংশের প্রযোজক অনন্ত জলিল। জমজম তাঁর ইনস্টাগ্রাম আইডিতে এ বিষয়ে এক দীর্ঘ স্ট্যাটাসে অনন্তের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ তুলে ধরেছেন। তিনি লেখেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে চলচ্চিত্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়ার একমাত্র কারণ ছিল ইরানি এবং বাংলাদেশিদের মধ্যে একটি শক্তিশালী বন্ধন তৈরি করা, বিভিন্ন দিক দিয়ে সমৃদ্ধ সংস্কৃতি বিনিময় করা এবং একে অপরকে আরও ভালোভাবে জানা। কারণ, আমি বিশ্বাস করি শিল্পই একমাত্র সর্বজনীন ভাষা যা সীমানা ভেঙ্গে দেয়।’

ইরানি পরিচালক ও কলাকুশলীদের সঙ্গে অনন্ত জলিল। ছবি: সংগৃহীত মুর্তজা সিনেমার নাম হিসেবে লেখেন ‘ডে (রোজ)’। তাঁর দাবি, অনন্ত ছবির নামকরণ থেকে শুরু করে কোনো কিছুই তাঁর সঙ্গে আলোচনা করে কিংবা সম্মতি নিয়ে করেননি। ‘তিনি (অনন্ত জলিল) চুক্তি ও এর শর্তাবলী ভঙ্গ করেছেন। তাঁর কারণেই সিনেমার প্রয় অর্ধেকই নষ্ট হয়েছে।’

ইরানি এ পরিচালক বলেছেন, তিনিই মূল প্রযোজক ছিলেন। এরপর অনন্ত তাঁর নিজের মতো করে, যেমন খুশি তেমন করে মূল গল্পের সঙ্গে সাংঘর্ষিকভাবে শুটিং করেছেন। তিনি লেখেন, ‘বাংলাদেশের জনগণকে সম্মান জানিয়ে আমি এর একটি শান্তিপূর্ণ ও সহজ সমাধানের কথা তাঁকে বলেছিলাম, কিন্তু তিনি মানেননি। ফলে আমি তেহরানের আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিই। একজন আন্তর্জাতিক আইনজীবীর মাধ্যমে আমি বাংলাদেশের আদালতেও যাব।’

মুর্তজা খুব শিগগিরই এ সিনেমার মূল চুক্তিপত্র, বাজেট সবকিছু প্রকাশ করবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি লেখেন, ‘আমি অনন্তকে বলেছিলাম, আপনি যেহেতু লজ্জাজনকভাবে কোনো চুক্তিই মানছেন না, তাই ইরানি টিমের নাম সিনেমা থেকে বাদ দিয়ে দিন। কিন্তু তিনি কোনো কথাই শোনেননি। তাই আইনি পথে যাওয়াই একমাত্র উপায় ছিল।’

মুর্তজার অভিযোগ নিয়ে জানতে অনন্তর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি সাড়া দেননি।

Source link

Related posts

আসছে ইমরান-পড়শীর ‘দ্বিতীয় জীবন’

News Desk

১৬ বছর পর টিভি সিরিয়াল হয়ে গেল সিনেমা

News Desk

জওয়ানের শুটিংয়ে উপকৃত চেন্নাইয়ের ৩ হাজার পরিবার

News Desk

Leave a Comment