১০০ কোটি ফিক্সড ডিপোজিটের স্বপ্ন ছিল অক্ষয় কুমারের
বিনোদন

১০০ কোটি ফিক্সড ডিপোজিটের স্বপ্ন ছিল অক্ষয় কুমারের

পরিশ্রমকে জীবনের মূলমন্ত্র করেছেন অক্ষয় কুমার। নিয়মকে করেছেন পাথেয়। খুবই নিয়মতান্ত্রিক মানুষ তিনি। একটা দিনের জন্যও নিজের রুটিন বদলান না। প্রায় চার দশক ধরে সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছেন অক্ষয়। তিনিই একমাত্র বলিউড অভিনেতা, যিনি বছরে সর্বোচ্চ সংখ্যক সিনেমায় কাজ করেন। নানা ধরনের ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত। সব মিলিয়ে অক্ষয়ের সম্পদের পরিমাণ ২ হাজার ৭০০ কোটি রুপির বেশি।

অক্ষয়কে ‘অর্থলোভী’ বলে সমালোচনা করেন অনেকে। তবে অক্ষয় বলেন, ‘আমি টাকা আয় করি। সেই টাকা দিয়ে মানুষের সেবা করি। ট্যাক্স দিই। আট বছর ধরে আমি সর্বোচ্চ করদাতা। চুরি-ডাকাতি-লুটপাট করে নয়, কঠোর পরিশ্রম করে সেই জায়গা অর্জন করেছি। অর্থ জীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক। সেটার সদ্ব্যবহার করতে হয়।’

সম্প্রতি নেটফ্লিক্সের ‘দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো’র তৃতীয় সিজনের শেষ পর্বে অতিথি হয়ে এসেছিলেন অক্ষয় কুমার। সেখানে তাঁর ক্যারিয়ারের ৩৫ বছর পূর্তি উদ্‌যাপন করা হয়। গল্পে গল্পে কপিল শর্মাকে অক্ষয় জানিয়েছেন, কোন ঘটনা তাঁর জীবনে টাকা আয়ের ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে।

অক্ষয় বলেন, ‘অনেক আগে পত্রিকায় একটা খবর পড়েছিলাম যে, জিতেন্দ্র সাহেব ১০০ কোটি রুপি ফিক্সড ডিপোজিট করেছেন। খবরটি পড়েই আমি বাবার কাছে দৌড়ে যাই। বাবাকে জিজ্ঞেস করি, ‘‘যদি কেউ ১০০ কোটির ফিক্সড ডিপোজিট করে, তাহলে সুদের পরিমাণ কত হবে?’’ ওই সময় সুদের হার ছিল ১৩ শতাংশ, সে হিসেবে প্রতি মাসে এক কোটি ৩০ লাখ আসে। আমি ভেবেছিলাম, যদি আমি এই পরিমাণ অর্থ এফডিআর করতে পারি, তাহলে আর্থিকভাবে নিরাপদ বোধ করব।’

অক্ষয়ের কথায় স্পষ্ট বোঝা গেল, ১০০ কোটি ফিক্সড ডিপোজিট পরবর্তী সময়ে তিনি করতে পেরেছিলেন। তাতেও কি আর্থিকভাবে নিরাপদ হতে পেরেছিলেন অক্ষয়? অভিনেতা বলেন, ‘মানুষ কখনো সন্তুষ্ট হয় না। চাহিদার পরিমাণটা বাড়তেই থাকে— এক শ কোটি থেকে এক হাজার কোটি, তারপর দুই হাজার কোটি। লোভ কখনো শেষ হয় না।’

কপিল শর্মা এর পর অক্ষয়ের কাছে জানতে চান, তিনি সর্বোচ্চ কত টাকা ফিক্সড ডিপোজিট করেছেন? এ প্রশ্নের উত্তর অবশ্য দেননি অক্ষয়।

অক্ষয় কুমার। ছবি: সংগৃহীত

কপিল শর্মা অক্ষয়কে আরও জিজ্ঞেস করেন, মধ্যবিত্ত পরিবারে বড় হওয়া অক্ষয় এখনও কি সেই মধ্যবিত্ত মানসিকতা টিকিয়ে রাখতে পেরেছেন? মৃদু হেসে অক্ষয় নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে দিয়ে দিয়েছেন কপিলের প্রশ্নের উত্তর।

অক্ষয় জানান, অর্থ তাঁকে বদলাতে পারেনি। তিনি আগের মতোই আছেন। অভিনেতা বলেন, ‘এমনকি এখনো যদি আমার ছেলে মেয়ে লাইট বা ফ্যান চালিয়ে রেখে বেরিয়ে যায়, আমি দ্রুত গিয়ে বন্ধ করে দিই। আমি জানি, এতে হয়তো আরও অতিরিক্ত দুই হাজার টাকা বিদ্যুৎ বিল বেশি আসবে, কিন্তু নিজেকে আটকাতে পারি না। এটা আমার অভ্যাস।’

Source link

Related posts

ফাগুন হাওয়ায় হাওয়ায় এল বসন্ত

News Desk

বাংলাদেশ থেকে অস্কারে যাচ্ছে ‘হাওয়া’

News Desk

ফের মা হওয়ার গুঞ্জন কারিনার

News Desk

Leave a Comment