‘সিতারে জামিন পার’-এ অভিনয়ের কথা ছিল ফারহানের, হতাশ করেছেন আমির খান
বিনোদন

‘সিতারে জামিন পার’-এ অভিনয়ের কথা ছিল ফারহানের, হতাশ করেছেন আমির খান

আগামী ২০ জুন বড় পর্দায় মুক্তি পাবে আমির খান অভিনীত ‘সিতারে জামিন পার’। ‘লাল সিং চাড্ডা’ সিনেমার ব্যর্থতার পর অভিনয় থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আমির খান। তবে, তিন বছর পর ‘সিতারে জামিন পার’ সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় ফিরছেন আমির। অথচ, এই সিনেমায় আমির খানের অভিনয় করারই কথা ছিল না। সিদ্ধান্ত হয়েছিল ফারহান আখতার অভিনয় করবেন সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্রে।

শেষ পর্যন্ত আমির নিজের সিদ্ধান্ত বদল করায় সিনেমা থেকে সরে দাঁড়াতে হয় ফারহান আখতারকে, আর আমিরের এই হঠাৎ সিদ্ধান্ত বদলের কারণে বেশ হতাশ হয়েছিলেন ফারহান। সম্প্রতি বলিউড হাঙ্গামা স্টাইল আইকন সামিট অ্যান্ড অ্যাওয়ার্ড ২০২৫ অনুষ্ঠান চলাকালে এ তথ্য দিয়েছেন স্বয়ং আমির খান।

আমির বলেন, ‘আমি যখন প্রসন্নকে (সিনেমার পরিচালক) বলি যে আমি এই সিনেমাটি করতে চাই না, তখন সে রীতিমতো অবাক হয়েছিল। তবে আমি কেন সিনেমাটি করতে চাইছিলাম না—এটা সে বুঝতে পেরেছিল, তাই আমাকে কিছু বলেনি। শুধু সিনেমাটি প্রযোজনা করার অনুরোধ করেছিল, আমি তাতে রাজি হই।’

আমির আরও বলেন, ‘সেই সময় এই সিনেমাটি দুটি সংস্করণে তৈরি হওয়ার কথা ছিল। হিন্দিতে ফারহান আখতার এবং তামিল সংস্করণে শিবকার্তিকেয়নের অভিনয় করার কথা ছিল। ওরা দুজনই স্ক্রিপ্টটা ভীষণ পছন্দ করেছিল। শুটিংয়ের তারিখও ফিক্সড হয়ে গিয়েছিল। সবকিছুই যখন ঠিকঠাক, প্রযোজক হিসেবে আমি স্ক্রিপ্টটা পড়ি এবং আমার এতটাই ভালো লেগে যায় যে আমি সিদ্ধান্ত বদলাতে বাধ্য হই। বিষয়টা আমি পরিচালককে জানাই। যেহেতু প্রথম থেকেই প্রসন্নের প্রথম পছন্দ ছিলাম আমি, তাই আমি রাজি হয়ে যাওয়ায় সে ফারহান ও শিবকার্তিকেয়নকে ফোন করে ক্ষমা চেয়ে নেয়। ওরা দুজনেই খুব হতাশ হয়ে হয়েছিল খবরটা শুনে। তবে পুরো ব্যাপারটা ভালোভাবেই মিটমাট হয়।’

সিতারে জামিন পার সিনেমার পোস্টার

প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে ‘তারে জামিন পর’ মুক্তির প্রায় ১৯ বছর পর মুক্তি পেতে চলেছে এর সিকুয়েল সিতারে জামিন পার। তারে জমিন পার সিনেমায় আমির খানকে দেখা গিয়েছিল নিকুম্ব নামের একজন আর্ট শিক্ষকের চরিত্রে। যার সংস্পর্শে পাল্টে গিয়েছিল অমনোযোগী এক শিশুর জীবন। সিকুয়েলে থাকছে ঠিক বিপরীত গল্প। এতে আমির খান রয়েছেন গুলশান নামের বাস্কেটবল কোচের ভূমিকায়।

গুলশান চরিত্রটি তারে জামিন পারের নিকুম্ব চরিত্রের ঠিক উল্টো। চলনে-বলনে বেশ রূঢ়। সবাইকে অপমান করে আনন্দ পায়। নিজের স্ত্রী ও মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে প্রতিনিয়ত। সিনিয়র কোচদের মারধর করে। একসময় আদালত তাঁকে শাস্তি হিসেবে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষের বাস্কেটবল কোচের দায়িত্ব দেন। এরপর বদলে যেতে থাকে গুলশানের জীবন।

Source link

Related posts

জুটোপিয়ায় আবার মিলবে শাকিরার দেখা

News Desk

বাঁধনের অভিনয়ে-নিবেদনে মুগ্ধ সৃজিত

News Desk

আটকে থাকা সিনেমা মুক্তির হিড়িক

News Desk

Leave a Comment