বলিউড কিংবা দক্ষিণি সিনেমায় ইদানীং অ্যাকশনের রমরমা। পর্দায় সহিংসতা আর রক্তপাতের জয়জয়কার। এমন সময়ে দর্শককে ভিন্ন স্বাদের গল্প উপহার দিল ‘সাইয়ারা’। আদ্যোপান্ত এই প্রেমের গল্পে নেই কোনো তারকা শিল্পী। নায়ক-নায়িকা একেবারেই নতুন মুখ; আহান পান্ডে ও অনিত পাড্ডা। তবু ইতিহাস গড়ল সাইয়ারা। মুক্তির ২২ দিনের মাথায় বিশ্বজুড়ে ৫শ কোটি রুপির বেশি আয় করেছে সিনেমাটি।
বলিউডে নতুন মুখ নিয়ে তৈরি সিনেমা গত দুই দশকে এত সাফল্য পায়নি। এই সাফল্যের আনন্দ কিছুটা হলেও মলিন করে দিয়েছে নকলের অভিযোগ। অনেকে অভিযোগ করছে, ২০০৪ সালের কোরিয়ান সিনেমা ‘আ মোমেন্ট টু রিমেম্বার’-এর গল্প চুরি করে তৈরি হয়েছে সাইয়ারা। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে চলছে কাটাছেঁড়া।
‘সাইয়ারা’ সিনেমার দৃশ্যে আহান পান্ডে ও অনিত পাড্ডা। ছবি: সংগৃহীত
অনেক দর্শক দুই সিনেমার তুলনা টেনে দেখিয়ে দিচ্ছেন, সাইয়ারা এবং আ মোমেন্ট টু রিমেম্বারের মধ্যে কতটা মিল। বিশেষ করে স্মৃতি হারানোর বিষয়টি। দুটি গল্পেই তুমুল প্রেমে পড়ে প্রেমিক-প্রেমিকা মানসিক অস্থিরতার ভেতর দিয়ে যায়। মেয়েটি স্মৃতি হারিয়ে ফেলে। ছেলেটিই তখন হয়ে ওঠে মেয়েটির একমাত্র ভরসা।
তবে নকলের এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সিনেমার চিত্রনাট্যকার সংকল্প সাধনা। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। তবে আমি যেটা বলতে চাই, কোরিয়ান সিনেমাটি অনলাইনে আছে। সাইয়ারাও এখন দর্শকদের সামনে। দুটি সিনেমা দেখে আপনারা নিজেরাই বিচার করুন। দেখলেই বুঝতে পারবেন আমাদের সিনেমাটি কি অনুপ্রাণিত, নকল নাকি মৌলিক গল্প।’
সংকল্প জানিয়েছেন, সাইয়ারা সিনেমার পরিকল্পনা আসে হঠাৎ করে। পরিচালক মোহিত সুরি ও তিনি ‘আশিকি থ্রি’র চিত্রনাট্য নিয়ে আলাপ করছিলেন। ফিরে আসার সময় মোহিত তাঁকে কয়েক লাইনের একটি গল্প শুনিয়ে জানতে চান, এটা নিয়ে সিনেমা করা যায় কি না!
চিত্রনাট্যকার সংকল্প বলেন, ‘সেখান থেকেই জন্ম নেয় সাইয়ারা। শুরুতে আমাদের কাছে কোনো গল্প ছিল না, চিত্রনাট্য ছিল না, ছিল শুধু একটা অনুভূতি। সেই আবেগের ওপর ভর করেই তৈরি হয়েছে সাইয়ারার গল্প।’