সাধারণত নিজের অভিনীত সিনেমা দেখেন না লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও। তবে ক্ল্যাসিক সিনেমার ভীষণ ভক্ত তিনি। শুধু হলিউড নয়, জাপানিজ, ইতালিয়ান—পৃথিবীর নানা প্রান্তের, নানা ভাষার সিনেমা রয়েছে তাঁর পছন্দের তালিকায়। সম্প্রতি বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডিক্যাপ্রিও জানিয়েছেন সাতটি সিনেমার নাম, যেগুলো তাঁর বারবার দেখা।
বাইসাইকেল থিভস (১৯৪৮)
ইতালিয়ান নির্মাতা ভিত্তোরিও ডি সিকার ‘বাইসাইকেল থিভস’ বদলে দিয়েছিল চলচ্চিত্রের ভাষা। কর্মহীন বাবা তাঁর ছেলেকে নিয়ে চুরি হওয়া সাইকেল খুঁজে বেড়ায় রোমের রাস্তায়। হতাশায় ক্লান্ত হয়ে একসময় সেও একটি সাইকেল চুরি করে, কিন্তু ধরা পড়ে যায়।
২০০১: আ স্পেস ওডিসি (১৯৬৮)
স্ট্যানলি কুবরিকের এ সায়েন্স ফিকশনকে সর্বকালের অন্যতম সেরা সিনেমা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কাহিনির শুরু কয়েক মিলিয়ন বছর আগে আফ্রিকার এক মরুভূমিতে। সেখানে একদল আদি-বনমানব একটি বিরাট পাথরের ফলক আবিষ্কার করে।
টোকিও স্টোরি (১৯৫৩)
জাপানি চলচ্চিত্রের মাস্টারপিস হিসেবে গণ্য করা হয় নির্মাতা ইয়াসুজিরো ওজুর ‘টোকিও স্টোরি’কে। এক বৃদ্ধ দম্পতির গল্প, যারা গ্রাম থেকে টোকিও শহরের উদ্দেশে রওনা হয় সন্তানদের সঙ্গে দেখা করতে।
ভার্টিগো (১৯৫৮)
আলফ্রেড হিচককের এই আলোচিত সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার তৈরি হয়েছে এক গোয়েন্দাকে ঘিরে। তার উচ্চতাভীতি আছে। তদন্তের প্রয়োজনে এক নারীকে অনুসরণ করতে গিয়ে তার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে।
দ্য বিগ লেবোস্কি (১৯৯৮)
জেফরি লেবোস্কি নামের এক অলস প্রকৃতির লোক হঠাৎ আক্রমণের শিকার হয়। পরে জানতে পারে, হামলাকারীর টার্গেট ছিল একই নামের আরেক লোক, যে বিরাট ধনী।
গুডফেলাস (১৯৯০)
মার্টিন স্করসেসির এই গ্যাংস্টার সিনেমা নাকি হাজারবার দেখেছেন লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও। ১৯৫৫ থেকে ১৯৮০ সালের মধ্যে এক মাফিয়ার উত্থান ও পতনের গল্প দেখানো হয়েছে গুডফেলাস সিনেমায়।
ট্যাক্সি ড্রাইভার (১৯৭৬)
মার্টিন স্করসেসির প্রথম দিকের সবচেয়ে আলোচিত সিনেমা। ১৫ বছর বয়সে প্রথম সিনেমাটি দেখেন ডিক্যাপ্রিও। এরপর ১০০ বারের বেশি দেখেছেন। নিউইয়র্ক শহরে ট্যাক্সি চালায় এমন এক একাকী মানুষের গল্প। মানসিকভাবে অস্থির। রাতের পর রাত ঘুমায় না। একসময় জড়িয়ে পড়ে অপরাধের সঙ্গে।