বাংলাদেশ ক্রিকেটের গৌরবগাথা পর্দায় আনছেন রাশিদ পলাশ
বিনোদন

বাংলাদেশ ক্রিকেটের গৌরবগাথা পর্দায় আনছেন রাশিদ পলাশ

ক্রিকেট বাংলাদেশের মানুষের কাছে ভালোবাসার জায়গা। বাংলাদেশের খেলার দিন মন পড়ে থাকে খেলার মাঠে। একটা ছক্কায় গোটা দেশ উল্লাসে মেতে ওঠে, একটা উইকেটে কোটি মানুষ একসঙ্গে চিৎকার করে। বাংলাদেশ ক্রিকেটের এক গৌরবময় অধ্যায় ১৯৯৭ সালের আইসিসি ট্রফি জয়। মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের কিলাত ক্লাব মাঠে ফাইনালে কেনিয়ার বিরুদ্ধে জয়ের পর বাংলাদেশের মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল উল্লাস করতে। আইসিসি ট্রফি জয় ক্রিকেটের প্রতি দেশের মানুষের ভাবনা বদলে দিয়েছিল। সেই বিজয়ে বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করে বাংলাদেশ। ক্রিকেটের সেই গৌরবগাথা এবার আসছে রুপালি পর্দায়। পুন্যরিভ প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে সিনেমাটি বানাবেন রাশিদ পলাশ।

ইতিমধ্যে এই সিনেমা নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে কথা বলেছেন নির্মাতারা। রাশিদ পলাশ জানান, তাঁদের পরিকল্পনা শোনার পর বিসিবি থেকে মিলেছে সবুজ সংকেত। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের প্রথমে শুটিং শুরু করতে চান নির্মাতা।

১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফি জয়ের পর বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের বিজয়উল্লাস। ছবি: সংগৃহীত

রাশিদ পলাশ বলেন, ‘ক্রিকেট বাংলাদেশের মানুষের ইমোশন। বাংলাদেশ জিতলে সবাই জিতে যায়। এককথায় ক্রিকেট আমাদের শক্তি। আপনি যে মতবাদের হোন না কেন, বাংলাদেশের খেলার দিন সবাই হয়ে যায় ঐক্যবদ্ধ। এই খেলার সবচেয়ে বড় টার্নিং পয়েন্ট ছিল ১৯৯৭ সালের আইসিসি ট্রফি জয়। সেই জয়ের পর মানুষের যে উল্লাস দেখা গেছে, সেটা ভোলার মতো নয়। সেই আবেগটা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আর্কাইভ করার লক্ষ্যেই এই সিনেমা বানানোর পরিকল্পনা।’

সিনেমার বিষয়টি বিসিবি কীভাবে দেখছে জানতে চাইলে নির্মাতা বলেন, ‘তারা খুব ইতিবাচক। বোর্ডের বর্তমান কমিটির অনেকে আইসিসি ট্রফি জয়ী দলের সদস্য। সিনেমার গল্প ও নির্মাণ পরিকল্পনা বলার সময় আমি তাদের চোখেমুখে উদ্দীপনা লক্ষ করেছি। তারাও চায়, ঐতিহাসিক সেই ঘটনাটি পর্দায় উঠে আসুক।’

এই সিনেমায় ক্রিকেটের পাশাপাশি ক্রিকেটারদের ব্যক্তিজীবনের গল্পও উঠে আসবে। রাশিদ পলাশ বলেন, ‘আইসিসি ট্রফি জয়ী দলের ক্রিকেটারদের অনেক প্রভাব আছে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে। আকরাম খান, আমিনুল ইসলাম বুলবুল, খালেদ মাসুদ পাইলটদের দেখে অনেকে এই খেলায় এসেছেন। সাধারণ মানুষের কাছেও তাঁরা হিরো। তাই তাঁদের সেই সময়ের জীবনযাপনটাও তুলে আনতে চাই।’

নির্মাতা আরও জানান, আইসিসি ট্রফি জয়ের গল্প পর্দায় সঠিকভাবে ফুটিয়ে তুলতে বিশাল আয়োজনের পরিকল্পনা করেছেন তাঁরা। সে জন্য প্রয়োজন সঠিক প্রস্তুতির। এখন চলছে চিত্রনাট্য লেখার কাজ। চিত্রনাট্য লিখছেন গোলাম রাব্বানী। শুটিং হবে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ায়।

সিনেমার নাম চূড়ান্ত হলেও এখনই তা প্রকাশ করতে নারাজ নির্মাতা। জানালেন, এটা চমক হিসেবে থাকুক। বাংলাদেশের বড় তারকাদের এই সিনেমায় যুক্ত করতে চাইছেন তিনি। কয়েকজনের সঙ্গে প্রাথমিক আলাপ চলছে। এ বছরের শেষ নাগাদ আনুষ্ঠানিকভাবে সিনেমা ও অভিনয়শিল্পীদের নাম প্রকাশের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানালেন নির্মাতা রাশিদ পলাশ।

Source link

Related posts

পরিচালক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছেন মৌসুমী হামিদের

News Desk

ফিল্ম আর্কাইভে বই, সিনেমা ও চলচ্চিত্র সামগ্রী দিলেন চলচ্চিত্র পরিচালক হারুনর রশীদ

News Desk

ঈদের নাটকে শবনম ফারিয়া ও মোশাররফ করিম

News Desk

Leave a Comment