ভারতীয় পরিচালক ও কোরিওগ্রাফার ফারহা খান ওয়েব সিরিজের নিয়মিত দর্শক। সম্প্রতি দেখা শেষ করেছেন ‘দ্য স্টুডিও’ ও ‘ব্ল্যাক মিরর’। দুটি সিরিজই দারুণ উপভোগ করেছেন তিনি। স্যাটায়ার ও সায়েন্স ফিকশনের ভক্ত যাঁরা, তাঁদের সিরিজ দুটি দেখার পরামর্শ দিয়েছেন ফারহা।
দ্য স্টুডিও
একটি হলিউড স্টুডিওর অন্দরের গল্প। স্টুডিওটির প্রধানের চাকরি নিয়ে এসেছে ম্যাট রেমিক। নিজেকে সিনেমাপ্রেমী হিসেবে দাবি করে সে। ভালো সিনেমা নির্মাণের স্বপ্ন তার, কিন্তু বর্তমানের করপোরেট চাহিদার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে গিয়ে ভালো সিনেমা নির্মাণের স্বপ্ন বারবার ধাক্কা খায়। স্যাটায়ারধর্মী সিরিজটি অ্যাপল টিভি প্লাসে প্রকাশ পেয়েছে গত মার্চে। জনপ্রিয়ও হয়েছে, যে কারণে এরই মধ্যে দ্বিতীয় সিজন নির্মাণের ঘোষণা এসেছে। এই সিরিজের আরেকটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো, প্রতি পর্বে একাধিক জনপ্রিয় তারকা অতিথি চরিত্রে অভিনয় করেছেন। দ্য স্টুডিও সিরিজটি নিয়ে ফারহা বলেন, ‘একটি সিনেমা নির্মাণের পেছনে যে পাগলামি থাকে, যে অদ্ভুত সব কাণ্ড ঘটে; তা দেখানো হয়েছে সিরিজে। মার্টিন স্করসেসির মতো বিখ্যাত সব মানুষের কমেডিও ভালো লাগবে সবার।’
ব্ল্যাক মিরর
নেটফ্লিক্সের বহুল আলোচিত সায়েন্স ফিকশন সিরিজ। অদূর ভবিষ্যতের বিজ্ঞানের অগ্রগতি গল্পের মূল বিষয়। এই ব্রিটিশ সিরিজের প্রতি সিজনে দেখানো হয় প্রযুক্তির সঙ্গে মানুষের সম্পর্কের অন্ধকার দিকটি। বেদনাদায়ক ফলাফল দেখিয়ে শেষ হয় প্রতিটি সিজন। ২০১১ সালে চ্যানেল ফোরে প্রথম প্রচারিত হয় ব্ল্যাক মিরর, নেটফ্লিক্সে প্রচারিত হচ্ছে ২০১৬ সাল থেকে। এটি এত জনপ্রিয়তা পেয়েছে যে এ পর্যন্ত তৈরি হয়েছে সাতটি সিজন। সর্বশেষ সিজনটি এসেছে গত এপ্রিলে। ব্ল্যাক মিরর নিয়ে ফারাহ বলেন, ‘এর সপ্তম সিজনও যথারীতি দারুণ লেগেছে। ব্ল্যাক মিরর দেখার সময় এতটা খারাপ লাগে যে প্রতি দুই পর্ব পরপর বিরতি নিতে হয়। আমি অবাক হয়ে ভাবি, এমন দুর্দান্ত একটা সিরিজের চিত্রনাট্য কীভাবে লেখা সম্ভব!’