Image default
বিনোদন

এক অন্য মাত্রার ছবি ‘‌পাগলায়েত’‌ উপহার দিলেন পরিচালক উমেশ বিস্ত

এক মহিলার স্বাধীন হওয়ার সফরের দিকে এগিয়ে যাওয়া এবং তাঁর জীবনে সারা জীবন ধরে অন্যরা সিদ্ধান্ত নিয়ে যাবে, সেটার উপলব্ধিকেই তুলে ধরা হয়েছে নেটফ্লিক্সের ‘‌পাগলায়েত’‌ ছবিতে। ছবির সংক্ষিপ্ত সার এটা হলেও, তার চেয়েও বেশি কিছুই অপেক্ষা করছে।

ছবি: সংগৃহীত

ছবির গল্প

সান্যা মালহোত্রা এই ছবিতে সন্ধ্যার চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এক অল্প বয়সী তরুণী, যাঁর ,স্বামী আস্তিক বিয়ের পাঁচমাসের মধ্যে মারা যান। তিনি খুব দুখী সবিধবা মোটেও নন, বরং তিনি ফেসবুক সার্ফিং করছেন এবং আরআইপি মন্তব্য লাইক করছেন। অনেকেই হয়ত মনে করতে পারেন যে সন্ধ্যার স্বামী মারা যাওয়ার কারণে তিনি হয়ত ট্রমাতে রয়েছেন। কিন্তু যথ আপনি সন্ধ্যাকে কাছ থেকে চিনবেন, তাঁর খাটের পাশে বেডসাইট দেখলেই বুঝতে পারবেন যে তিনি শুধু উদাসীন। তাঁদের পাঁচমাসের বিয়েতে সন্ধ্যা এবং আস্তিক কখনই স্বামী-স্ত্রীর মতো কাটাননি। সন্ধ্যার রুম থেকে বেড়িয়ে শান্তি কুঞ্জ বাড়িতে পরিবার একত্রিত হয়েছে ১৩ দিনে শ্রাদ্ধের কাজে। সেখানে অনেকেই শুধু গল্প-গুজব করার জন্য এসেছেন, কেউ কেউ পরিবারের প্রতি দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করছেন আবার কেউ বা এসেছেন শুধুই দায়বদ্ধতার জন্য। শুধুমাত্র কয়েকজন পরিবারের প্রতি সত্যিকারের সমবেদনা জানান। যদিও সিনেমার নায়িকা তাঁর স্বামী মারা যাওয়ার একদিন পর চায়ের বদলে পেপসি খাওয়ার আবদার ও মশলা চিপস খাওয়ার নোলাকে সামলে রাখতে না পারার বিষয়টি বেশ মজাদার।

ছবি: সংগৃহীত

ছবির ক্লাইমেক্স

খুব কম সংখ্যক সিনেমার মধ্যে পাগলায়েত ছবিটিও এমন একটি সিনেমা, যেখানে পরিবারের কেউ মারা যাওয়ার পর জীবনকে আরও কাছ থেকে চেনা যায়। যেখানে লমহিলারা একে-অপরকে খোঁচা দিয়ে চলেছেন, পুরুষরা নিজেদের কাজকর্ম নিয়ে আলোচনা করতে ব্যস্ত, ছেলেরা সিগারেটের ধোঁয়ায় খেলাধূলো নিয়ে কথা বলছেন এবং মেয়েরা ব্যস্ত ফুচকা খেতে। এরই মাঝে সন্ধ্যা তথা সান্যা মালহোত্রা নিজের জীবনকে খুঁজতে বেড়িয়ে পড়েন এবং সবকিছু অতিক্রম করে তিনি এটা উপলব্ধি করেন যে তাঁর ভাগ্য আসলে তাঁরই হাতে। তবে তিনি সিনেমার নামের মতো পাগল হয়ে যাবেন না, শুধু নিজের লক্ষ্যকে খুঁজে পাবেন।

ছবি: সংগৃহীত

অভিনয়

ছবিতে সান্যা মালহোত্রার অভিনয় নিয়ে কোনও প্রশ্ন করাই চলবে না। তিনি তাঁর চরিত্রটিকে যথাযথভাবে ফুটিয়ে তুলতে সফল হয়েছেন। সান্যা ছাড়াও ছবির অন্যান্য অভিনেতা রঘুবীর যাদব, রাজেশ তাইলাঙ্গ, আশিফ খান, আশুতোষ রানা ও শিবা চাড্ডা প্রত্যেকে তাঁদের অভিনয় দক্ষতা দেখিয়েছেন।

সফল পরিচালক

পরিচালক উমেশ বিস্ত এক অন্য স্বাদের ছবি দর্শকদের উপহার দিয়েছেন। যেখানে বিধবা হয়ে যাওয়ার অর্থ জীবন শেষ হয়ে যাওয়া নয়। অন্যভাবেও জীবনকে উপভোগ করা যায়। পরিচালক এই ভিন্নধর্মী ছবি এনে ফের প্রমাণ করলেন যে বলিউড এখনও নতুন ধারার সিনেমাকে যোগ্য সম্মান দেয়।

Related posts

ক্যারিয়ারের এ হালের জন্য সংবাদকর্মীদের দুষলেন প্রভা

News Desk

স্মৃতিতে স্মরণে অভিনেত্রী অঞ্জনা

News Desk

১৩ ডিসেম্বর প্রেক্ষাগৃহে আসছে ‘৮৪০’

News Desk

Leave a Comment