সংগীত জগতের সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার গ্র্যামি পেলেন পাকিস্তানের গায়িকা আরুজ আফতাব। তাঁর গাওয়া ‘মহব্বত’ গানের জন্যই ‘গ্লোবাল পারফরম্যান্স বিভাগে’ সেরার শিরোপা জিতেছেন।
প্রথমবারের মতো গ্র্যামি জিতলেন আরুজ আফতাব। পাকিস্তানের এই সুরকার বর্তমানে নিউইয়র্কের বাসিন্দা। পাকিস্তান থেকে প্রথম কোনও নারী কণ্ঠশিল্পী এই সম্মান পেলেন। ৩৭ বছর বয়স্ক এই সংগীতশিল্পীর জয় টুইটার ট্রেন্ডিংয়ে চলে এসেছে।
পাকিস্তানের নাগরিক মা-বাবার ঘরে সৌদি আরবে জন্ম হয় আরুজ আফতাবের। এরপর লাহোরে বেড়ে ওঠা। ২০০৫ সালে পাকিস্তান থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসেন আরুজ। বোস্টনের খ্যাতনামা বার্কলি স্কুল অফ মিউজিকে মিউজিক্যাল প্রোডাকশন নিয়ে পড়াশোনা করেন। বর্তমানে তিনি নিউইয়র্কে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। সেখানে নিয়মিত লাইভ পারফরমেন্স করেন।
২০১৪ সালে প্রকাশ পায় আরুজের প্রথম মিউজিক অ্যালবাম ‘বার্ড আন্ডার ওয়াটার’। প্রথম অ্যালবামেই বিশ্ব সংগীতে পরিচিতি পায়। এমনকী, তাঁর প্রথম অ্যালবাম চার্ট বাস্টারেও বেশ কিছুদিন জায়গা করে নিয়েছিল। আরুজ গজল এবং শাস্ত্রীয় সংগীতে পারদর্শী।
আরুজ এবছর নমিনেটেড ছিলেন বেস্ট নিউ আর্টিস্ট ক্যাটাগরির জন্যও। যদিও সেই বিভাগে জয় হয় অলিভিয়া রোডরিগোর। তবে যে গানের জন্য গ্র্যামি পেলেন আরুজ, সেই ‘মহব্বত’ গানটি বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তৈরী করেছিল। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সামার প্লে লিস্টের তালিকাতেও ছিল আরুজের এই গান।
সেরা নতুন শিল্পী বিভাগে আরুজ আফতাবের সঙ্গে মনোনয়ন পেয়েছিলেন অলিভিয়া রদ্রিগো, ফিনিয়াস, দ্য কিড লারোই এবং জিমি অ্যালেন। ১৯৯৬ সালে বেস্ট ট্র্যাডিশনাল ফোক অ্যালবাম ও বেস্ট ওয়ার্ল্ড মিউজিক অ্যালবামের জন্য গ্র্যামিতে মনোনয়ন পেয়েছিলেন উস্তাদ নুসরাত ফতেহ আলি খান।
এক নজরে দেখে নিন বিজয়ীদের তালিকা–
রেকর্ড অব দ্য ইয়ার- সিল্ক সোনিক (লিভ দ্য ডোর)
অ্যালবাম অব দ্য ইয়ার- জন বাস্তিতে (উই আর)
সং অব দ্য ইয়ার- সিল্ক সোনিক (লিভ দ্য ডোর)
সেরা নবাগত- অলিভিয়া রদরিগো
সেরা রক পারফরম্যান্স- ফু ফাইটারস (মেকিং অ্যা ফায়ার)
সেরা মেটাল পারফরম্যান্স- ড্রিম থিয়েটার (দ্য এলিয়েন)
সেরা রক সং- ওয়েটিং অন অ্যা ওয়ার
সেরা রক অ্যালবাম- ফু ফাইটারস (মেডিসিন অ্যাট মিডনাইট)
সেরা পপ সলো পারফরম্যান্স- অলিভিয়া রদরিগো (ড্রাইভারস লাইসেন্স)
সেরা আর অ্যার্ড বি অ্যালবাম- জেসমিন সুলিভান (হেক্স টেলস)
সেরা কান্ট্রি অ্যালবাম- ক্রিস স্ট্যাপলটন (স্টার্টিং ওভার)