Image default
বিনোদন

আঠারো বছরে ‘হৃদয়ে মাটি ও মানুষ’

গতকাল একুশে ফেব্রুয়ারি আঠারো বছরে পা দিয়েছে শাইখ সিরাজের কৃষি কার্যক্রম ‘হৃদয়ে মাটি ও মানুষ’। ২০০৪ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি থেকে চ্যানেল আইতে প্রচার হয় অনুষ্ঠানটি। দেশের কৃষির বহুমুখী উন্নয়ন, অগ্রযাত্রা ও সাফল্যের পেছনে রয়েছে এ অনুষ্ঠানটির প্রভাব। এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশের অগণিত শিক্ষিত তরুণ যুক্ত হয়েছেন কৃষিতে। খাদ্যশস্য ও ফল-ফসল উৎপাদনে তারা রেখে চলেছেন অসামান্য অবদান। সরকার পরিচালনা থেকে শুরু করে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা প্রসঙ্গে এ অনুষ্ঠানটি রেখে চলেছে অসামান্য অবদান। হৃদয়ে মাটি ও মানুষ শুধু দেশের কৃষির সাফল্য নয়, তৃণমূল কৃষকদের অধিকার সুরক্ষা, তাদের কণ্ঠস্বরকে জাগ্রত করার ক্ষেত্রে রেখেছে অবদান। হৃদয়ে মাটি ও মানুষের প্রতি বছরের অর্থনৈতিক গবেষণাধর্মী আয়োজন ‘কৃষি বাজেট কৃষকের বাজেট’ দেশের কৃষি অর্থনৈতিক গতিপ্রকৃতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে।

এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই শাইখ সিরাজ কৃষকের জন্য প্রতিবছরের বিনোদন আয়োজন ‘কৃষকের ঈদ আনন্দ’ আয়োজন করে থাকেন। যেটি টেলিভিশনের জন্য অনন্য আয়োজন হিসেবে সমাদৃত। এছাড়া হৃদয়ে মাটি ও মানুষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক কৃষি কার্যক্রম ‘ফিরে চল মাটির টানে’, ‘কৃষকের স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম’, ‘কৃষকের স্বাস্থ্য সেবা’সহ নানাবিধ আয়োজন হয়েছে। হৃদয়ে মাটি ও মানুষ অনুষ্ঠানের ধারাবাহিকতায় আরেকটি অনুষ্ঠান হৃদয়ে মাটি ও মানুষের ডাকও শুরু হয় একই সময়ে। এ অনুষ্ঠানটি এখন ‘ছাদকৃষি’ অনুষ্ঠান হিসেবে দর্শকদের মাঝে সমাদৃত। এ অনুষ্ঠানের কল্যাণে দেশের শহর-নগরে ছাদকৃষি অনুশীলনের ব্যাপকভিত্তিক কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে। এ অনুষ্ঠানে দেখানো হয় ‘প্রবাসে বাঙালির আঙিনা কৃষি’। সেটিও প্রবাসের নাগরিকদের ব্যাপকভাবে আলোড়িত করেছে। এখন প্রবাসেও হাজার হাজার নাগরিক সুবিধামতো সময় ও জায়গায় কৃষিকাজ করছেন।

Related posts

যেসব কারণে বলিউড ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন প্রিয়াংকা

News Desk

কবরীর অবস্থার অবনতি, পাওয়া যাচ্ছে না আইসিইউ

News Desk

মসৃণ ছিল না বাঙালি কন্যা বিপাশা বসুর বলিউডের পথ

News Desk

Leave a Comment