Image default
বিনোদন

ব্যাচেলর পয়েন্ট ও কাবিলা চরিত্র মাইলফলক হয়ে থাকবে

তিন বছর আগে শুরু হয়েছিলো ধারাবাহিক নাটক ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’। শুরু থেকেই তুমুল জনপ্রিয়তা পায় ধ্রুব টিভিতে প্রচার হওয়া নাটকটি৷ সেই শক্তিতেই তিনটি সিজন ‘বাম্পারহিট’ তকমা নিয়ে প্রচার হয়েছে৷ নাটকটি যেমন জনপ্রিয় তেমনি এর কাবিলা, পাশা ভাই, হাবু ভাই চরিত্রগুলোও দারুণ দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে। তাই এ নাটকটি আর নির্মাণ হবে না শোনার পর থেকেই আফসোস করছেন দর্শক৷ অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচালক কাজল আরেফিন অমিসহ এর কলাকুশলীদের অনুরোধ জানাচ্ছেন নতুন গল্পে ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’র নতুন সিজন আনার জন্য। সেই অনুরোধ রাখা হবে কি না তা সময় বলবে৷ আপাতত পাওয়া গেল কাবিলা চরিত্রে অভিনয় করা জিয়াউল হক পলাশের প্রতিক্রিয়া।

এ নাটকের অভিনয়ের অভিজ্ঞতা জানিয়ে পলাশ বলেন, ‘ভীষণ পরিমাণ নস্টালজিয়া ফিল হচ্ছে। ভেতরে ভেতরে এত কষ্ট হচ্ছে যে শেষ তিনটি এপিসোড আমি দেখিনি। সর্বশেষ এপিসোডটি ফেসবুকে শেয়ার করিনি। ব্যাচেলর পয়েন্টের শেষ দৃশ্যের শুটিং করেছিলাম ধানমন্ডি থানার জেলের মধ্যে। আমি ও মিশু সাব্বির ভাই ছিলাম। অমি ভাই শুধু বলেছিল, পলাশ এটা শেষ দৃশ্য। এরপর ওই দৃশ্যে খুব কান্না করেছিলাম। আমি নিজেও জানিনা কী সংলাপ দিয়েছিলাম! আমার মতো মিশু ভাইয়েরও একই অবস্থা ছিল। শেষ দৃশ্যের শুটিংয়ে আমাদের অবস্থা দেখে থানার পুলিশ, জেলে থাকা আসামীরাও কেঁদেছে। এত এত আনন্দময় অভিজ্ঞতা আছে, সবমিলিয়ে এ নাটক ও কাবিলা চরিত্রটি আমার ক্যারিয়ারের মাইলফলক হয়ে থাকবে।

কাবিলা চরিত্রটি নিয়ে পলাশ বলেন, ‘কাবিলাকে নিয়ে মানুষের যে উচ্ছ্বাস, উন্মাদনা এগুলো সত্যিকারের ভালোবাসা। খুব কম অভিনেতার ভাগ্যেই এমন ভালোবাসা মেলে। আমি কৃতজ্ঞ দর্শকের কাছে৷ সেদিন শুটিং করে বের হওয়ার পর আমার মাইক্রোর ড্রাইভার বলছে, ভাই সারাদিন ধরে কাজে ছিলেন এজন্য কিছু বলি নাই। আমার বাচ্চা মেয়েটা আপনার জন্য কাঁদছে। তার কথা হচ্ছে, কাবিলা আংকেলকে পুলিশে ধরে নিয়ে গেছে। এজন্য ওর কান্না থামাতে পারিনি। এটা শোনার পর আমি কিছু বলতে পারিনি। মানুষ চরিত্রটাকে কতটা আপন করে নিলে এভাবে কান্না করে!

আমি আবেগ আপ্লুত হয়ে যাই। কখনই এমন সাকসেসের চিন্তা করি নাই। সবসময় আমি বলে থাকি, আমার সাকসেস হচ্ছে অ্যাকসিডেন্টাল সাকসেস।’

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই কাবলিার শেষ পরিণতিকে নব্বই দশকের কালজয়ী ‘বাকের ভাই’ এর সাথে তুলনা করছেন। এ বিষয়টি নিয়ে অবশ্য খানিকটা আপত্তি জানালেন কাবিলা। তিনি বলেন, ‘ হুমায়ূন আহমেদ স্যারের কালজয়ী এক চরিত্র বাকের ভাই। সে চরিত্রের সঙ্গে আমি কখনো কাবিলাকে মেলাবো না। দর্শক আবেগে হয়তো বাকের ভাইয়ের সঙ্গে আমাকে মিলিয়ে তাদের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ জানাচ্ছেন। কিন্তু কিংবদন্তীতুল্য ওই চরিত্রের সঙ্গে মেলানোর যোগ্যতাটা আমার নেই। আমি বলবো যে এমনভাবে আবেগ জানানো ঠিক না যা চোখে লাগে। কাবিলা জনপ্রিয়, কিন্তু বাকের ভাই একটা কিংবদন্তি আমাদের নাটকের ইতিহাসে।

Related posts

নুসরাতের মা হওয়ার খবরে ভেঙে পড়েছেন নিখিল

News Desk

কিমের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ইরিনার প্রেমে মজেছেন কেনি

News Desk

করনের সোফায় বসলে মনের আশা পূরণ হয়

News Desk

Leave a Comment