প্রাচ্যনাটের নতুন নাটক ‘ব্যতিক্রম এবং নিয়ম’
বিনোদন

প্রাচ্যনাটের নতুন নাটক ‘ব্যতিক্রম এবং নিয়ম’

প্রাচ্যনাটের নতুন নাটক ‘ব্যতিক্রম এবং নিয়ম’

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রকাশ : ১৭ জুলাই ২০২৫, ০৮: ৪০

Photo

‘ব্যতিক্রম এবং নিয়ম’ নাটকের দৃশ্য। ছবি: প্রাচ্যনাটের সৌজন্যে

বার্টল্ট ব্রেখটের বিখ্যাত নাটক ‘দ্য এক্সসেপশন অ্যান্ড দ্য রুল’। এতে তুলে ধরা হয়েছে, পুঁজিবাদী সাম্রাজ্যের অন্তর্নিহিত বৈষম্য এবং আইনের শাসনের দুর্বলতা। ঢাকার মঞ্চে নাটকটি নিয়ে আসছে প্রাচ্যনাট নাট্যদল। নাম দেওয়া হয়েছে, ‘ব্যতিক্রম এবং নিয়ম’। এটি অনুবাদ করেছেন শহীদুল মামুন। নির্দেশনা দিয়েছেন আজাদ আবুল কালাম। ১৮ জুলাই সন্ধ্যা ৭টায় রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির পরীক্ষণ থিয়েটার হলে নাটকটির উদ্বোধনী মঞ্চায়ন হবে। ১৯ জুলাই একই স্থান ও সময়ে হবে দ্বিতীয় প্রদর্শনী। নাটকটি পৃষ্ঠপোষকতা করছে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

‘ব্যতিক্রম এবং নিয়ম’ নাটকের গল্প প্রসঙ্গে নির্দেশক আজাদ আবুল কালাম জানান, একজন বণিক, একজন গাইড ও একজন কুলি রওনা করে বিশেষ এক অভিযানে। তাদের এই অভিযানের উদ্দেশ্য হলো বাহারস্থান যাওয়া। সেখানে পৌঁছাতে পারলে এই বণিক তেলের সন্ধান পাবে। তাই তাদের মধ্যে একটা প্রতিযোগিতা লক্ষ করা যায়। একপর্যায়ে গাইডকে সন্দেহ করে ওই বণিক। বাদ দিয়ে দেয় তাকে। এরপর কুলিকে নিয়েও তার সন্দেহ বাড়তে থাকে। বণিকের মনে হয় কুলি তার সঙ্গে বেইমানি করতে পারে। কারণ কুলির ওপর সে অনেক অত্যাচার করেছে। একপর্যায়ে বণিকের পানির পিপাসা পায়। কিন্তু তার কাছে পানি শেষ হয়ে গেছে। সে সময় কুলি তাকে পানি দিতে গেলে বণিক ভীত হয়ে ওঠে। পানির বোতলকে সে মনে করে পাথর। ভাবে, কুলি তাকে পাথর নিক্ষেপ করে মেরে ফেলবে। ভীত হয়ে কুলিকে গুলি করে মেরে ফেলে। আদালতে বিচারকার্য বসে। আদালত মনে করে ভয় ও শঙ্কা থেকে বণিক এমনটা করেছে। রায় যায় বণিকের পক্ষে। আদালত ও আইন যে একটা নির্দিষ্ট শ্রেণির হাতেই থেকে যায়, এটাই নাটকের মূল বক্তব্য।

আজাদ আবুল কালাম বলেন, ‘এই নাটক ভীষণভাবে পলিটিক্যাল। রাজনৈতিক বক্তব্যই এখানে প্রধান। এই সময়ে এই নাটকের প্রেক্ষাপট ভীষণ প্রাসঙ্গিক মনে হয়েছে। ২০২৪ সালের আন্দোলনে আমরা দেখেছি বৈষম্যহীন সমাজ, আইনের শাসন এগুলোর প্রতি জনআকাঙ্ক্ষা। এই জনআকাঙ্ক্ষাই ফুটে ওঠে এই নাটকে।’

নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন শতাব্দী ওয়াদুদ, শাখাওয়াত হোসেন রিজভী ও একদল নতুন অভিনেতা। সেট ডিজাইন করেছেন মো. সাইফুল ইসলাম, মিউজিক করেছেন নীল কামরুল। কোরিওগ্রাফি করেছেন শান্তা শাহরীন এবং কস্টিউম ডিজাইন করেছেন বিলকিস জাহান জেবা।

Source link

Related posts

৭২ ঘণ্টার মধ্যে শেষ কবীর সুমনের অনুষ্ঠানের টিকিট

News Desk

অনুদানের সাত বছর পর ‘দায়মুক্তি’র মুক্তি

News Desk

ব্যাচেলর পয়েন্ট-৫ আসবে আগামী বছর

News Desk

Leave a Comment