নেপথ্যের ঘটনা জানিয়ে বিবৃতি দিলেন মেহজাবীন
বিনোদন

নেপথ্যের ঘটনা জানিয়ে বিবৃতি দিলেন মেহজাবীন

অর্থ আত্মসাৎ ও হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী ও তাঁর ভাই আলিসান চৌধুরীর বিরুদ্ধে। মামলা করেছেন আমিরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। তাঁর অভিযোগ, মেহজাবীন চৌধুরী তাঁর একটি ব্যবসায় অংশীদার হওয়ার প্রস্তাব দিলে বিভিন্ন সময়ে মোট ২৭ লাখ টাকা দিয়েছেন আমিরুল। কিন্তু দীর্ঘদিন ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরুর উদ্যোগ না নিলে তিনি টাকা ফেরত চাইলে মেহজাবীন ও তাঁর ভাই আমিরুলকে গালিগালাজ করেন, ধমক দিয়ে আর কখনো টাকা চাইতে নিষেধ করেন এবং প্রাণনাশের হুমকি দেন।

তবে মেহজাবীনের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ ঘটনায় গতকাল রোববার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিয়েছেন অভিনেত্রী। আজ সোমবার ফেসবুকে একটি অফিশিয়াল বিবৃতি দিয়েছেন তিনি। মেহজাবীন লিখেছেন, ‘একজন অজানা ব্যক্তি ২০২৫ সালের মার্চ মাসে আমার ও আমার ১৯ বছর বয়সী ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন। গত ৯ মাসে আমি এই মামলার কোনো তথ্য পাইনি। কারণ, অভিযোগকারী ব্যক্তি পুলিশকে আমার সঠিক ফোন নম্বর, সঠিক ঠিকানা বা কোনো যাচাইকৃত তথ্য দিতে পারেননি।… অভিযোগকারীর দাবি, ২০১৬ সাল থেকে আমাকে ফেসবুকে মেসেজ দিতেন। সেটাও তিনি দেখাতে পারেননি। মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ বা আমার নম্বরেও কোনো কিছু আসেনি। একটি স্ক্রিনশটও তিনি দেখাতে পারেননি।…আমাকে ২৭ লাখ টাকা দিয়েছেন, কীভাবে দিলেন; ব্যাংক লেনদেন, কোনো চেক, বিকাশ লেনদেন, কোনো লিখিত চুক্তি, কোনো রসিদ, কোনো সাক্ষী, কিছুই না। একটি কাগজপত্রও তিনি দেখাতে পারেননি।’

মেহজাবীন চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

অভিযোগকারীর পরিচয় নিয়ে মেহজাবীন লিখেছেন, ‘তাঁর পরিচয় অসম্পূর্ণ। তাঁর সম্পূর্ণ পরিচয়পত্র এখনো জমা দেওয়া হয়নি। তাঁর এনআইডি পর্যন্ত অনুপস্থিত। খবর প্রকাশ হওয়ার পর থেকে অভিযোগকারী তাঁর ফোন বন্ধ করে রেখেছেন, এমনকি তাঁর আইনজীবীর নম্বরও বন্ধ।’

অভিযোগকারীর দাবি অনুযায়ী হাতিরঝিলের পাশে রেস্টুরেন্টে ডেকে নিয়ে হুমকি দেওয়া প্রসঙ্গে মেহজাবীন লিখেছেন, ‘গত নয় মাসে তিনি দেখাতে পারেননি রেস্টুরেন্ট বা আশপাশের রাস্তার এক সেকেন্ডেরও সিসিটিভি ফুটেজ, কোনো সাক্ষী, কোনো প্রমাণ, কিছুই না। অথচ, হাতিরঝিল ঢাকার সবচেয়ে বেশি সিসিটিভি-নিয়ন্ত্রিত এলাকা।’

মেহজাবীন চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীতমেহজাবীন চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

আইনি নোটিশ পেয়েও আদালতে হাজির না হওয়ায় অভিনেত্রী ও তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। কিন্তু মেহজাবীন লিখেছেন, ‘গত নয় মাসে আমি কোনো নোটিশ পাইনি। কোনো পুলিশ স্টেশনের ফোনকল, কোনো কোর্টের নোটিশ বা ডকুমেন্ট কিছুই পাইনি। কোনো নোটিশ পেলে আমি আগেই আইনি ব্যবস্থা নিতাম।…এই মামলার কোনো ভিত্তি না থাকলেও, যখন জানতে পারলাম, অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট জারি হয়েছে, তখন আমি আইনি প্রক্রিয়া মেনে জামিন নিয়েছি—কারণ, আমি আইন ও নিয়মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।’

সব শেষে মেহজাবীন লিখেছেন, ‘প্রমাণ ছাড়া দায়ের করা মামলা কখনো সত্য হয়ে যায় না। এখনকার দিনে কাউকে অপমান করা, মানহানি বা ভাইরাল হওয়ার জন্য অন্যকে ব্যবহার করা সহজ হয়ে গেছে। এই ব্যক্তির যেই উদ্দেশ্যই থাকুক, আমার বা আমার পরিবারের সুনাম ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করে সে যা-ই করতে চায়—আমি বিশ্বাস করি সবকিছু দ্রুতই পরিষ্কার হয়ে যাবে। কোনো কিছু প্রমাণ হওয়ার আগপর্যন্ত আমি সবাইকে অনুরোধ করব, দয়া করে সহানুভূতিশীল হোন, দয়া করে মানবিক হোন এবং কাউকে না জেনে কোনো মিডিয়া ট্রায়াল শুরু করবেন না।’

Source link

Related posts

ইন্দ্রনীলের পর এবার কিরীটী হবেন বিক্রম

News Desk

এবার বিমানবন্দরে লন্ডনি শিল্পপতির সঙ্গে দেখা মিলল কৃতির

News Desk

‘বিড়াল-কুকুর নিয়েই মরতে হবে!’ 

News Desk

Leave a Comment