জাপানি ভাষায় নির্মিত ইমনের সিনেমা, প্রতিযোগিতা করছে জাপান ও ভারতে
বিনোদন

জাপানি ভাষায় নির্মিত ইমনের সিনেমা, প্রতিযোগিতা করছে জাপান ও ভারতে

জাপানিজ ভাষায় স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন বাংলাদেশের নির্মাতা আবু শাহেদ ইমন। সিনেমার নাম ‘টেনিমেন্ট অব সিক্রেট টক’। জাপান ও ভারতে অনুষ্ঠিত এশিয়ার দুটি গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্র উৎসবে জায়গা করে নিয়েছে সিনেমাটি। জাপানের কারাতসু ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল এবং ভারতের সাউথ এশিয়ান শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে নির্বাচিত হয়েছে সিনেমাটি।

গতকাল থেকে জাপানের সাগা প্রদেশের কিয়ুসু দ্বীপের কারাতসু শহরে শুরু হয়েছে কারাতসু ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। উৎসবটি আয়োজন করছে কারাতসু কালচার কমিশন। প্রতিযোগিতা বিভাগের জন্য মনোনীত হয়েছে পাঁচটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। এর মধ্যে আবু শাহেদ ইমনের টেনিমেন্ট অব সিক্রেট টক একটি। এ বছর ৩৩ দেশের ৩৩১টি সিনেমা জমা পড়েছে। ১৩ জুলাই উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে। ইমনের সিনেমাটি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে আরও চারটি নির্বাচিত জাপানি সিনেমার সঙ্গে। সিনেমাগুলো হলো ‘রিটেক’ (ওগা এইসুকে), ‘দ্য ডিগিং ওমান’ (চিতারা রিও), ‘রোডসাইড’ (এগুচি তাকাহিরো) ও ‘লুকিং ফর মিডনাইট’ (তাকেদা আকারি)।

নির্মাতা আবু শাহেদ ইমন। ছবি: সংগৃহীত

একই সময়ে ইমনের টেনিমেন্ট অব সিক্রেট টক সিনেমাটি ভারতের কলকাতায় অনুষ্ঠিত অষ্টম সাউথ এশিয়ান শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ‘ইন্টারন্যাশনাল উইন্ডো: শর্ট ফিকশন’ সেকশনে প্রতিযোগিতা করবে। উৎসবটি ৭ থেকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত চলবে কলকাতার নন্দন ফিল্ম সেন্টারে। এই বিভাগে নির্বাচিত হয়েছে ৯টি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র। ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটি অব ইন্ডিয়া আয়োজিত উৎসবটি দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের শর্ট ফিল্মের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উৎসব বলে বিবেচিত হয়।

জাপানি ভাষায় নির্মিত ইমনের সিনেমাটি ইতিমধ্যে জাপানে প্রশংসিত হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে সেখানকার কুমুগায়া একিমায়ি শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে এক্সিলেন্ট অ্যাওয়ার্ড জিতেছে। এ ছাড়াও সুকুবা শর্ট মুভি কম্পিটিশনে রানারআপ হয়েছে। জাপানের কিয়োতো ফিল্মমেকার্স ল্যাব প্রজেক্টের অংশ হিসেবে কিয়োতো হিস্টোরিকা ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফ্যাস্টিভ্যালের সহায়তায় তৈরি হয়েছে আবু শাহেদ ইমনের সিনেমাটি।

নির্মাতা আবু শাহেদ ইমন জানিয়েছেন, সিনেমাটির গল্প তৈরি হয়েছে জাপানের এডো যুগের ওপর ভিত্তি করে, যেখানে ঐতিহাসিক আবহ, আবেগ ও চিত্রভাষার এক চমৎকার মেলবন্ধন ঘটেছে। ইমন বলেন, ‘জাপানে একটি আন্তর্জাতিক টিমের সঙ্গে এই সিনেমা নির্মাণ করা ছিল অসাধারণ এক অভিজ্ঞতা। এটি বিভিন্ন ভাষা ও সংস্কৃতির দর্শকদের মনে সাড়া ফেলছে। সব মিলিয়ে এটা আমার ক্যারিয়ারের জন্য খুবই গুরত্বপূর্ণ একটা অধ্যায়।’

উল্লেখ্য, আবু শাহেদ ইমনের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘জালালের গল্প’ বাংলাদেশের হয়ে ২০১৬ সালের অস্কারে প্রতিনিধিত্ব করেছিল।

Source link

Related posts

‘২০০ সিনেমা হল চালু হয়েছে শুনে প্রধানমন্ত্রী উৎসাহিত হয়েছেন’

News Desk

মেকআপের দরকার পড়ে না কারিনার

News Desk

রজনীকান্তের জেলার মুক্তির প্রথম দিনেই ভোর ৫টা থেকে দর্শকদের দীর্ঘ সারি

News Desk

Leave a Comment