গানের মানুষ ইমন সাহার প্রথম সিনেমায় সাইমন-নীলা
বিনোদন

গানের মানুষ ইমন সাহার প্রথম সিনেমায় সাইমন-নীলা

২০২২ সালের শেষ দিকে জানা গিয়েছিল সুরকার ও সংগীত পরিচালক ইমন সাহা বসছেন পরিচালকের আসনে। বানাচ্ছেন ‘সাইলেন্স: আ মিউজিক্যাল জার্নি’ নামের স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা। তিন বছর পর ইমন সাহা জানালেন, পরিকল্পনা বদল করেছেন তিনি। সাইলেন্স: আ মিউজিক্যাল জার্নি তৈরি করছেন পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র হিসেবে। মুক্তি দেবেন প্রেক্ষাগৃহে।

মিউজিক্যাল ফিল্মটির গল্প নিয়ে আজকের পত্রিকাকে ইমন সাহা জানান, গ্রামের বাউল ঘরের এক মেয়ের মিউজিক্যাল জার্নি নিয়ে তৈরি হচ্ছে সিনেমাটি। সংগীতের জন্য গ্রাম থেকে শহরে আসা সেই বাউলের জীবনের নানা সংগ্রামের গল্প দেখা যাবে এতে। ইমন সাহা বলেন, ‘এখানে এক নারীর সাইকোলজিক্যাল জার্নির পাশাপাশি জীবনের জার্নি দেখানোর চেষ্টা করেছি। মানুষের জীবনে যেকোনো জার্নিতে অনেক বাধা-বিপত্তি থাকে। অনেক ক্ষেত্রে নিজের ভ্যালুর সঙ্গে কম্প্রোমাইজ করতে হয়। সেগুলো তুলে ধরা হয়েছে।’

স্বল্পদৈর্ঘ্যের পরিকল্পনা থেকে সরে আসা প্রসঙ্গে ইমন সাহা বলেন, ‘স্বল্পদৈর্ঘ্য চিন্তা করেই শুরু করেছিলাম সিনেমাটি। কিছু অংশের শুটিং করেছিলাম। কিন্তু বানাতে গিয়ে দেখলাম, আমি যেটা বলতে চাইছি সেটা স্বল্পদৈর্ঘ্যে ঠিকমতো হচ্ছে না। সবার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিই পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা বানানোর। নতুনভাবে চিত্রনাট্য সাজানো হয়। কিছু নতুন চরিত্র যোগ করা হয়েছে। এখন এটাকে ফিচার ফিল্ম বলা যায়।’

ইমন সাহাছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল চলচ্চিত্র পরিচালক হব। সময়, সুযোগ, সাহস কোনোটাই হয়ে উঠছিল না। অবশেষে অনেক সাহস করে নিজের প্রযোজনা সংস্থা থেকে উদ্যোগ নিলাম চলচ্চিত্র নির্মাণের। —ইমন সাহা

এর আগে জানা গিয়েছিল, সাইলেন্স: আ মিউজিক্যাল জার্নি সিনেমায় অভিনয় করবেন জীতু আহসান ও জিনাত শানু স্বাগতা। তবে নির্মাতা জানালেন, শেষ পর্যন্ত দুজনের কেউই এ সিনেমার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেননি। এতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন সাইমন সাদিক, নীলাঞ্জনা নীলা, ইন্তেখাব দিনার, আজাদ আবুল কালামসহ অনেকে। নির্মাতা জানিয়েছেন, সিনেমাটির কিছু অংশের শুটিং বাকি আছে। শিগগিরই সব কাজ শেষে মুক্তির প্রস্তুতি নেবেন। চলতি বছরই প্রেক্ষাগৃহে সিনেমাটি মুক্তি দিতে চান ইমন সাহা।

১ জুলাই সাইলেন্স: আ মিউজিক্যাল জার্নি সিনেমাটি পরিচালক সমিতিতে নিবন্ধন করেছেন ইমন সাহা। বিষয়টি জানিয়ে ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল চলচ্চিত্র পরিচালক হব। সময়, সুযোগ, সাহস কোনোটাই হয়ে উঠছিল না। অবশেষে অনেক সাহস করে নিজের প্রযোজনা সংস্থা থেকে উদ্যোগ নিলাম চলচ্চিত্র নির্মাণের। প্রথমে ভেবেছিলাম স্বল্পদৈর্ঘ্য দিয়ে শুরুটা হোক। পরে ভাবলাম, পূর্ণদৈর্ঘ্য কেন নয়! আমার এ নতুন পথচলায় আপনাদের সবার আশীর্বাদ, সহযোগিতা ও ভালোবাসা চাই।’

ইমন সাহার বাবা সত্য সাহাও সংগীতের পাশাপাশি নির্মাণের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন। পরিচালনা না করলেও ডজনখানেক সিনেমা প্রযোজনা করেছেন তিনি। ‘অশিক্ষিত’, ‘ছুটির ঘণ্টা’, ‘বিনিময়’, ‘রাম রহিম জন’, ‘পুরস্কার’, ‘তোমার জন্য পাগল’-এর মতো জনপ্রিয় সিনেমার প্রযোজনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি।

Source link

Related posts

কলকাতায় দুই সপ্তাহের মধ্যে ৪ মডেলের আত্মহত্যা

News Desk

আলিয়ার গাঙ্গুবাইয়ের থেকে কম সংগ্রহ রণবীরের শামশেরার

News Desk

দায়িত্ব বুঝে নিল অভিনয়শিল্পী সংঘের নতুন কমিটি

News Desk

Leave a Comment