Image default
জীবনী

রিজার্ভ আরও কিছুটা কমে ৩৩.৮৬ বিলিয়নে

চাহিদা মেটাতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে ক্রমাগত বৈদেশিক মুদ্রা বিক্রির মধ্যে দেশের রিজার্ভ আরও কিছুটা কমে ৩৪ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমেছে।

নভেম্বরের শেষ দিনেও ব্যাংকগুলোর কাছে আরও কিছু ডলার বিক্রি করায় দিন শেষে রিজার্ভের স্থিতি ছিল ৩৩ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলার বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ।

এদিনও ৭ কোটি ১০ লাখ ডলার বিক্রি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আমদানি ব্যয়সহ অন্যান্য দায় পরিশোধে নভেম্বর মাসে তিনি কার্যদিবস ছাড়া বাকি সব দিন ডলার বিক্রি করা হয়েছে।

নভেম্বরসহ চলতি অর্থবছরের পাঁচ মাসে ৬০৫ কোটির বেশি ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

আমদানি পণ্যের সরবরাহ ঠিক রাখা ও বৈদেশিক মুদ্রার বাজার স্থিতিশীল রাখতেই ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করা হচ্ছে বলে বিভিন্ন সময়ে জানিয়ে আসছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

চলতি অর্থবছর শুরু হয়েছিল ৪১ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলারের রিজার্ভ নিয়ে। আর পাঁচ মাসের ব্যবধানে তা নেমে দাঁড়ায় ৩৩ দশমিক ৮৬ বিলিয়নে।

এর আগে বাংলাদেশের রিজার্ভ ২০২০ সালের মে মাস শেষে ছিল ৩৩ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার, যা পরের মাসেই বেড়ে হয় ৩৬ বিলিয়ন ডলার। এরপর ধারাবাহিকভাবে বাড়তে বাড়তে ২০২১ সালের অগাস্টে ৪৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছিল।

কোভিড মহামারীর লকডাউন উঠে যাওয়ার পর আমদানির চাপ বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে এই বছরের শুরুতে ইউক্রেইন যুদ্ধ বাঁধলে আমদানি ব্যয় বাড়তে থাকে; এর সঙ্গে রেমিটেন্স কমে যেতে থাকলে রিজার্ভ চাপে পড়ে।

গত জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে দেশে আমদানি হয়েছে ১৯.৩৪ বিলিয়ন ডলার। এতে গড়ে প্রতিমাসে আমদানি হয়েছে ৬ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলার। তবে আমদানি নিয়ন্ত্রণ করায় গত অক্টোবরে আমদানি ৪ বিলিয়নের ঘরে নেমেছে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য। নভেম্বরেও তা কমবে বলে আশা বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের। তখন রিজার্ভের ওপর চাপও কমে আসবে।

Related posts

Student fall sick: পরীক্ষা চলাকালীন অজ্ঞান পড়ুয়া, লেখা শেষ করতে বাড়তি আধ ঘণ্টা সময় দিল স্কুল

News Desk

মাদার তেরেসা আলোচনা সমালোচনা

News Desk

নোবেলজয়ী থেকে সরকার প্রধান অধ্যাপক ইউনূস এর জীবনী

সানজিদুল ইসলাম

Leave a Comment