৫ ঘণ্টা গুলি-টিয়ার গ্যাস ছুড়েও শিক্ষার্থীদের এক চুলও পিছু হটাতে পারেনি পুলিশ
বাংলাদেশ

৫ ঘণ্টা গুলি-টিয়ার গ্যাস ছুড়েও শিক্ষার্থীদের এক চুলও পিছু হটাতে পারেনি পুলিশ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কোটবাড়ি এলাকায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে লাগা সংঘর্ষের পাঁচ ঘণ্টা কেটেছে। আনা হয়েছে পুলিশের দুটি সাঁজোয়া যান। ঘটনার শুরু থেকে রয়েছে ১৪ প্লাটুন বিজিবি। কিন্তু পাঁচ ঘণ্টাও শিক্ষার্থীদের পিছু হটাতে পারেননি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) বেলা ১১টা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার কোটবাড়ি এলাকায় অবস্থান নেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ, কুমিল্লা পলিটেকনিকসহ কুমিল্লার বিভিন্ন স্কুল কলেজসহ প্রায় ৪০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী। শান্তিপূর্ণভাবেই মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় দুপুর একটার দিকে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে একটি লাঠি ছোড়া হলে পুলিশ প্রতিরোধ করে। এরপর শুরু হয় সংঘর্ষ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পাঁচ ঘণ্টা মুহুর্মুহু গুলি, টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়েও শিক্ষার্থীদের এক চুলও পেছনে হটাতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। ইতোমধ্যে পুলিশের দুইটি গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। টিয়ার গ্যাসে আহত হয়েছে পুলিশের কয়েকজন সদস্য ও কমপক্ষে ১০ সাংবাদিক।

অপরদিকে শিক্ষার্থীদের প্রায় অর্ধশত ঘটনাস্থলে আহত হয়েছেন। তাদের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্সযোগে বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। বেলা সাড়ে ৪টার দিকে মহাসড়কের চারপাশে শিক্ষার্থীদের সর্ব অবস্থান দেখা যায়। এ ছাড়াও মহাসড়কের বিভিন্ন সংযোগ সড়কে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের অবস্থান দেখা যায়।

৫ ঘণ্টা গুলি-টিয়ার গ্যাস ছুড়েও শিক্ষার্থীদের এক চুলও পিছু হটাতে পারেনি পুলিশ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, পুলিশ সকাল থেকেই ছাত্রদের ওপর বিনা উসকানিতে হামলা শুরু করে। এতে আমাদের শতাধিক ভাই আহত হয়েছে। পুলিশ শান্তভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ না করে অস্ত্র দিয়ে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। যা খুবই দুঃখজনক। আহত ছাত্ররা কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, কুমিল্লা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে রয়েছে। তারা মেয়াদোত্তীর্ণ টিয়ার গ্যাস ছুড়েছে।

৫ ঘণ্টা গুলি-টিয়ার গ্যাস ছুড়েও শিক্ষার্থীদের এক চুলও পিছু হটাতে পারেনি পুলিশ

ঘটনাস্থলে রয়েছেন, কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অপরাধ খন্দকার আশফাকুজ্জামান, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরান হোসেন, কুমিল্লার কোতোয়ালি থানার ওসি ফিরোজ হোসেনসহ কয়েকজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এ বিষয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে কেউই বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

তবে নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের নিবৃত্ত করার জন্য চেষ্টা করছি। শিক্ষার্থীরা যেন শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেভাবে কাজ করছি।

Source link

Related posts

প্রাথমিকের সহকারীরা দশম গ্রেড কেন পাবেন না?

News Desk

প্রাথ‌মিকের শিক্ষকদের কাছ থেকে চাঁদা তুলে ভ্রমণে শিক্ষা কর্মকর্তারা

News Desk

‘চাকরি খাওয়ার যোগ্যতা আছে আমার’ পুলিশ সদস্যকে আ.লীগ নেতা

News Desk

Leave a Comment