হয়েছে বৃষ্টিও, তবু নদীর তীরের কারখানাটির আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে লাগলো ১৪ ঘণ্টা
বাংলাদেশ

হয়েছে বৃষ্টিও, তবু নদীর তীরের কারখানাটির আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে লাগলো ১৪ ঘণ্টা

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার হোসেন্দি ইউনিয়নের জামালদি এলাকায় টিকে গ্রুপের মালিকানাধীন সুপার বোর্ড ফ্যাক্টরির আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। প্রায় ১৪ ঘণ্টা ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ৩টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এখনও গোডাউনের ভেতরে বোর্ড ও বোর্ড তৈরির সরঞ্জামে আগুন জ্বলছে। যা পুরোপুরি নিভতে সময় লাগবে। কারখানাটি মেঘনা নদীর তীরে অবস্থিত।

এখনও সেখানে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট কাজ করছে। এখনও অর্ধশতাধিক ফায়ার ফাইটার ঘটনাস্থলে অবস্থান করছেন বলেও জানিয়েছেন গজারিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ রিফাত মল্লিক। তবে আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও লাগার কারণ এখনও নিশ্চিত করে জানা যায়নি।

আগুন নেভাতে গিয়ে এক আনসার সদস্যসহ সাত জন আহত হয়েছেন। আহত অপর ছয় জন কারখানার শ্রমিক। তাদের গজারিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

রবিবার দুপুর ১টার দিকে সুপার বোর্ড ফ্যাক্টরিতে লাগা ওই আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট কাজে যোগ দেয়। লাগাতার চেষ্টায় ও প্রবল বৃষ্টির সুবাদে সন্ধ্যার দিকে আগুন কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে আসে। তবে পুরোপুরি নিভিয়ে ফেলা সম্ভব হয়নি।

এদিকে আগুনের ঘটনার কারণ উদঘাটনে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসন। কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

গজারিয়া ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ রিফাত মল্লিক জানান, আগুন লাগা সেই গোডাউনে বিপুল পরিমাণ কাঠের গুঁড়া ও পাটের খড়ি দিয়ে তৈরি সুপার বোর্ডের বড় বড় স্তূপ ও বোর্ড তৈরির সরঞ্জাম থাকায় আগুন দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে। আগুন একটি শেডের কিছু অংশে সীমাবদ্ধ করে রাখতে সক্ষম হয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এ আগুন আর ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা নেই। গোডাউনের ভেতরে স্তূপ আকারে রাখা মালামালগুলোতেই মূলত এখন এখনও আগুন জ্বলছে।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে এই ফ্যাক্টরিতে আগুন লেগেছিল। যা পুরোপুরি নেভাতে সময় লেগেছিল পাঁচ দিন।

প্রসঙ্গত রবিবার দুপুর ১টার দিকে ওই ফ্যাক্টরিতে আগুন দেখতে পান কর্মরত শ্রমিকরা। সে আগুন মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে ভয়ানক রূপ ধারণ করে। গোডাউনে মাল খালাসের জন্য নোঙর করা তিনটি ট্রলারেও আগুন ধরে যায়।

Source link

Related posts

রাজশাহী মেডিকেলে ২৪ ঘণ্টায় ১৩ জনের মৃত্যু

News Desk

উপদেষ্টা আসছেন বলে চলছে অস্থায়ী সংস্কার, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে তীব্র যানজট

News Desk

আমার ছেলে বেঁচে নেই, এখন এই ফল দিয়ে কী হবে?

News Desk

Leave a Comment