সড়কে চামড়ার স্তূপ, ‘নাক চেপে’ পার হচ্ছেন পথচারীরা
বাংলাদেশ

সড়কে চামড়ার স্তূপ, ‘নাক চেপে’ পার হচ্ছেন পথচারীরা

ময়মনসিংহ নগরীর চামড়া গুদাম এলাকায় সড়কের ওপর কাঁচা চামড়া প্রক্রিয়াজাত করে স্তূপাকারে রেখে ব্যবসা করার অভিযোগ উঠেছে চামড়া ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে। চামড়ার ময়লা সড়কে ছড়িয়ে পড়াসহ দুর্গন্ধের কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুরে নগরের চামড়া গুদাম এলাকায় সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, সড়ক দখল করে চামড়া ব্যবসায়ীরা কাঁচা চামড়া লবণজাত করে স্তূপাকারে রেখে দিয়েছে। ঈদের দিন থেকে এভাবেই সড়ক দখল করে রেখে দেওয়ায় চামড়ার ময়লা এবং দুর্গন্ধ এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। দুর্গন্ধের কারণে স্থানীয় এলাকাবাসীসহ নগরবাসী পড়েছেন চরম দুর্ভোগে।

স্থানীয় বাসিন্দা কামরুল হাসান জানান, প্রতিবছর এভাবেই ব্যবসায়ীরা কাঁচা চামড়া কিনে লবণ দিয়ে দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে সড়কের ওপর ফেলে রাখে। বেশি দাম পাওয়ার পরে চামড়া বিক্রি করে দেয়। কিন্তু এই দুই সপ্তাহজুড়ে এলাকায় বসবাস করা দায় হয়ে পড়ে। লবণ দেওয়া চামড়া থেকে ময়লা পানি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে এবং দুর্গন্ধের এলাকায় বসবাস করা যায় না। বিশেষ করে ময়লা এবং দুর্গন্ধের কারণে শিশু এবং বয়স্করা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।

স্থানীয় মুদি ব্যবসায়ী সালাম জানান, এলাকার নাম চামড়া গুদাম হলেও দীর্ঘদিন থেকে ব্যবসায়ীদের কোনও গুদাম নেই। ব্যবসায়ীরা সড়কের ওপর চামড়া রেখে ব্যবসা করেন। এতে দুর্গন্ধের কারণে দোকানপাট খোলা যায় না, মানুষ চলাচল করতে পারে না, এলাকার মানুষও অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে। এ ব্যাপারে সিটি করপোরেশনের কোনও উদ্যোগ দেখা যায় না। চামড়া ব্যবসায়ীদের জন্য নির্দিষ্ট একটা জায়গা দিয়ে ব্যবসা করার সুযোগ দিলে এই সমস্যার সমাধান হবে বলে জানান তিনি।

স্থানীয় চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মুক্তার হোসেন বলেন, ‘আমাদের জন্য নির্ধারিত কোনও জায়গা না থাকায় সড়কের ওপরে দীর্ঘদিন ধরে আমরা ব্যবসা করে আসছি। জেলা প্রশাসকের কাছে দুই দিন সময় নিয়েছি। আগামী বৃহস্পতিবারের (২৭ জুন) মধ্যেই আমরা ট্যানারি মালিকদের কাছে চামড়া পাঠিয়ে দেবো।’

তিনি আরও বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের জন্য নির্ধারিত জায়গা পেতে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করা হয়েছে। তিনি আশ্বস্ত করেছেন খাস খতিয়ান জায়গা পেলেই তিনি আমাদের বরাদ্দ দেবেন। এরপরে আর এই সমস্যা থাকবে না।’

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের (মসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলী বলেন, ‘মানুষের দুর্ভোগ হচ্ছে এটা বিবেচনায় এনে চামড়া ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা দুই দিন সময় নিয়েছেন। বৃহস্পতিবারের মধ্যেই সড়ক থেকে চামড়া সরিয়ে ফেলবেন ব্যবসায়ীরা।’

Source link

Related posts

বৈরী আবহাওয়ায় পর্যটকশূন্য কুয়াকাটা

News Desk

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, অর্ধলাখ পানিবন্দি

News Desk

বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপরে তিস্তার পানি 

News Desk

Leave a Comment