Image default
বাংলাদেশ

শীতে কাঁপছে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা  

টানা দুইদিন ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির পর রবিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে সূর্যের মুখ দেখা দিয়েছে। তবে হাড় কাঁপানো শীতে পঞ্চগড়ের জনজীবন বিপর্যস্ত। জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। রাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢাকা ছিল চারদিক, বৃষ্টির মতো ঝরেছে কুয়াশা। সকাল ৯টায় জেলায় ৬.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এটিই আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। 

এদিকে সকালে সূর্য উকি দিলেও উষ্ণতা ছড়াতে পারছে না। মাঘের শেষ সময়ে এসে কনকনে বাতাসে কাবু হয়ে পড়েছে মানুষ। হাটবাজারে রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচলও কম ছিল। যানবাহনগুলো সাবধানে হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরে ধীরে চলাচল করেছে। কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহের কারণে মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছে না। অনেকে প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হলেও গরম এবং ভারী কাপড় পরতে হয়েছে। একটানা শীতের প্রকোপে এ জেলার নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। 

বোদা উপজেলার বেংহারী বনগ্রাম ইউনিয়নের আশরাফ আলী বলেন, তিন দিনের কুয়াশা আর বাতাসে ঘর থেকে বের হতে পারিনি। গরম কাপড়ও নাই, কাজও নাই। বাড়িতে খাবারও নাই। 

জেলা শহরের ভ্যানচালক আমিনার জানান, দুই দিনতো বৃষ্টির জন্য বের হতে পারিনি। আজকেও খুব কুয়াশা। ঠাণ্ডায় কাবু হয়ে পড়েছি। শহরে লোকজনও কম, ভাড়াও মারতে পারিনি। 

 জেলার সদর উপজেলার পঞ্চগড় ইউনিয়নের দেওয়ানহাট এলাকার দিনমজুর সামসুল আলম বলেন, কুয়াশার কারণে শহরে ও গ্রামে কোথাও কাজ পাচ্ছি না। কাজের খোঁজে শীতের মধ্যে ঘুরেও কোথাও কাজ পাইনি। দিন আনে দিন খাই, কাজ না পেলে আমাদের কষ্ট বাড়ে। 

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ জানান, রবিবার সকাল ৯টায় ৬.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এটি দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। শনিবার এখানে ১১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল। শুক্রবার ছিল ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শৈত্য প্রবাহ আরও কয়েকদিন স্থায়ী হতে পারে বলে জানান এ আবহাওয়া কর্মকর্তা।

 

Source link

Related posts

আলু পাহারায় থাকা যুবককে কুপিয়ে হত্যা 

News Desk

করোনায় ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৮৭ জনের মৃত্যু

News Desk

সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েও পুলিশের এসআই হওয়া হলো না সুকেনের

News Desk

Leave a Comment