গ্রামীণ আর আধুনিক সরঞ্জামের সমন্বয়ে সজ্জিত মঞ্চ। বাঁশির অসাধারণ সুর মিশ্রিত বাদ্যযন্ত্রের তালে মঞ্চের সামনে বসে থাকা অতিথি আর কয়েকশ’ শ্রোতা মুগ্ধ হয়ে শুনলেন লালনকাব্য। আলোচকদের মুখে লালনের মানবতাবোধ-দার্শনিকতা, আর শিল্পীদের কণ্ঠে লালনসৃষ্টি সংগীত পরিবেশনায় তিরোধান দিবস যেন লালন স্মরণ উৎসবে পরিণত হলো। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) মরমি সাধক ফকির লালন সাঁইয়ের ১৩৫তম তিরোধান দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এমনই আবহ ছিল কুড়িগ্রাম শিল্পকলা একাডেমি চত্বর। কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
‘মানুষ ভজলে সোনার মানুষ…’; ‘করিমনা কাম ছাড়ে না…’ ;‘ধন্য ধন্য বলি তারে…’ ; ‘কী সন্ধানে যাই সেখানে…’ ;‘আমি অপার হয়ে বসে আছি…’সহ একে একে ১৪টি লালনগীতির সুরের মূর্ছনায় দর্শক-শ্রোতা প্রেম, মানবতা আর ভক্তির ভিন্ন এক সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা উপভোগ করেন।
আজাদ আলী, সেবা রানী, ফারজানা আক্তার ঝিনুক, মাহবুবা আক্তার দয়া, পঞ্চানন রায়, আশরাফ ভান্ডারিসহ কুড়িগ্রামের স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনা মহাত্মা লালনের তিরোধান দিবসকে স্মরণ উৎসবে পরিণত করে।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ, পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমানসহ জেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন সরকারি দফতরের কর্মচারীরা উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। সন্ধ্যায় শুরু হওয়া আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত। এ ছাড়াও জেলার ফুলবাড়ী উপজেলাসহ কয়েকটি স্থানে ভক্তরা গানে গানে লালন সাঁইয়ের তিরোধান দিবস পালন করেন।