রাঙামাটিতে ৬ হাজার পরিবার পানিবন্দি
বাংলাদেশ

রাঙামাটিতে ৬ হাজার পরিবার পানিবন্দি

পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিপাতের কারণ কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে জেলার লংগদু, বাঘাইছড়ি, বিলাইছড়ি, রাঙামাটি সদর উপজেলার নিম্ন এলাকায় হ্রদ তীরবর্তী বাড়িঘর পানিতে ডুবে যাচ্ছে। পাশাপাশি ফসলের ক্ষতি বাড়ছে। জেলায় বেড়েছে পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা।

অন্যদিকে ১৬টি জলকপাট দিয়ে এক ফুট করে প্রতি সেকেন্ডে ছাড়া হচ্ছে ১৮ হাজার কিউসেক পানি। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিটের মাধ্যমে আরও প্রায় ২৫ হাজার কিউসেক পানি অপসরণ হচ্ছে। প্রতি সেকেন্ডে মোট ৪৩ হাজার কিউসেক পানি ছাড়া হলেও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে হ্রদের পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।

কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তথ্যমতে, গতকাল ছয় ইঞ্চি করে ১৬টি জলকপাট দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি ছাড়া হয়েছিল। আজ সকাল থেকে ১৬টি জলকপাট দিয়ে এক ফুট করে প্রতি সেকেন্ডে ছাড়া হচ্ছে ১৮ হাজার কিউসেক পানি ছাড়া হচ্ছে। বর্তমানে হ্রদে পানি রয়েছে ১০৮.৪৮ এমএসএল। এতে দুর্ভোগে পড়েছে জেলার নিম্নাঞ্চলের এবং হ্রদ তীরবর্তী এলাকার মানুষ। যোগাযোগ ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে কিছু এলাকায়।

রাঙামাটিতে ৬ হাজার পরিবার পানিবন্দি

হ্রদ তীরবর্তী শান্তি নগর এলাকার বাসিন্দা মো. ফারুক বলেন, গত ২২ বছরেও এমন পানি হয়নি। বাড়িতে কখনও পানি ওঠেনি। এ বছর বৃষ্টি ও হ্রদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বাড়িঘরে পানি উঠেছে। রান্নাবান্না সব বন্ধ, হোটেল থেকে কিনে এনে খাচ্ছি।

আসামবস্তি এলাকার পানিবন্দি আরেক বাসিন্দা মো. ইউনুছ মিয়া বলেন, টিউবঅয়েল ডুবে আছে। এখনও কেউ খোঁজ নিতে আসেনি। আমরা এই এলাকার এতোগুলো মানুষ পানিবন্দি কেউ ত্রাণ সহায়তাও দেয়নি। এলাকার মানুষজন কষ্টে আছে।

রাঙামাটিতে ৬ হাজার পরিবার পানিবন্দি

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আক্তার জানান, উপজেলার ৭নং ইউনিয়ন ও পৌরসভার চারটি ওয়ার্ডে পানি উঠেছে। এতে প্রায় তিন হাজার পারিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ১১টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা রয়েছে।

রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান জানান, জেলায় ৫-৬ হাজার পরিবার পানবন্দি অবস্থায় রয়েছে। সবচেয়ে বেশি বাঘাইছড়িতে। সব নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ত্রাণ সহায়তা এবং আশ্রয় কেন্দ্র খোলার জন্য। প্রতি সেকেন্ডে মোট ৪৩ হাজার কিউসেক পানি ছাড়া হলেও উজান থেকে নেমে আসা পানির কারণ হ্রদের পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবার পানি বেশি ছাড়া হলে ভাটিতে বন্যা সৃষ্টি হতে পারে। সব কিছু বিবেচনা করে পানি ছাড়া অব্যাহত রয়েছে।

Source link

Related posts

চট্টগ্রামে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, রেললাইনের পাশে আগুন 

News Desk

দেশে আসছে রাশিয়ার টিকা

News Desk

পানিতে ভাসছে স্বপ্নের ফসল, কাঁদছেন কৃষক

News Desk

Leave a Comment